অস্ত্র ও দুষ্কৃতীর ‘খোঁজে’ ফের পুলিশি তাণ্ডবের অভিযোগ উঠল পাড়ুইয়ে। বুধবার রাত থেকে অস্ত্রের খোঁজে দুবশঙ্কা গ্রামে তল্লাশি চালায় পুলিশ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোর রাত থেকে শুরু হওয়া এই তল্লাশির নামে ভাঙচুড় ও লুঠপাট চালায় পুলিশ। মাঠে ধান পাহারা দেওয়ার জন্যে তৈরি অস্থায়ী চালাগুলি পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা। তবে ওই সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে পুলিশ। বনশঙ্কা এবং দুবশঙ্কা গ্রামে অস্ত্রের খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
একের পর রাজনৈতিক সংঘর্ষে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে বীরভূমের পাড়ুই। হামলা এবং পাল্টা হামলায় মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েক জনের।। গত ১৫ নভেম্বর চৌমণ্ডলপুর গ্রামে মাস্কেটবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় জসিমুদ্দিন নামে এক যুবকের। ওই দিন তৃণমূল এবং বিজেপির দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সিরশিট্টা গ্রামে গুলিবিদ্ধ হন শেখ হাসান নামে ব্যক্তি। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে। যদিও তৃণমূল তা অস্বীকার করেছে। গত ১২ তারিখ পাড়ুইয়ের ইমাদপুরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন এক বিজেপি কর্মী। আহত হন আরও পাঁচ জন। ওই দিন পাড়ুই বাজার লাগোয়া মাঠে জনসভায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। অভিযোগ ওঠে, এক বিজেপি সমর্থককে প্রথমে মারধর করে কয়েক জন তৃণমূল সমর্থক।