‘পিকে হো কেয়া?’-এলিয়েন আমির খান নন, এ বার হয়তো এ প্রশ্ন সামলাবেন এক হিন্দিভাষী লেখক কপিল ইসাপুরী। প্রশ্নকর্তার ভূমিকায় থাকতে পারেন স্বয়ং ‘পিকে’র জন্মদাতা রাজকুমার হিরানি। কারণ কপিল ইসাপুরীর দাবি, ২০১৩ তে প্রকাশিত তাঁর বই ‘ফারিস্তা’র গল্প হুবহু কপি অ্যান্ড পেস্ট করেছেন পিকের পরিচালক রাজকুমার হিরানি। অর্থাত্ ‘পিকে’র গল্প রাজকুমারের নিজস্ব ভাবনার ফসল নয়। তা চুরি করা হয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টে এ বিষয়ে মামলা দায়ের করে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেল কপিল। বিচারপতি নাজিম ওয়াজিরি ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ‘পিকে’র পরিচালক রাজকুমার হিরানি, প্রযোজক বিধু বিনোদ চোপড়া ও স্ক্রিপ্ট লেখক অভিজাত জোশীকে এ ব্যাপারে জবাব দিতে বলেছেন।
রাজকুমার হিরানির আইনজীবী জানিয়েছেন, ২০১০ এর ২৯ জুলাই ‘ঘর জানা হ্যায়’ নামে মুম্বইয়ের রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের স্ক্রিপ্ট প্রথম নথিভুক্ত করা হয়। এর পর ২০১২-তে এর সর্বশেষ সংস্করণ ‘পিকে’ নামে নথিভুক্ত হয়। শেষ পর্যন্ত ২০১৪ সালে মুক্তি পায় আমির খান, অনুষ্কা শর্মা অভিনীত ‘পিকে’। পাশাপাশি কপিলের আইনজীবীর দাবি, ২০০৯-তে ফারিস্তার প্রথম পান্ডুলিপি জমা দিয়েছিলেন তাঁর মক্কেল। যা বইয়ের আকারে প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালে। সব মিলিয়ে পিকে নিয়ে জলঘোলা চলছে সব মহলে।