সেনা বাসে আত্মঘাতী হামলা। কাবুল। ছবি: এএফপি।
ল্যান্ডমাইন নিষ্ক্রিয় করার কাজে নিযুক্ত ১২ জনকে হত্যা করল তালিবানরা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে আফগানিস্তানের হেলমন্দ প্রদেশের দক্ষিণে। পাশাপাশি কাবুলে একটি সেনা বাসে তালিবান আত্মঘাতী হামলা চালায়। একই দিনে সুপ্রিম কোর্টের এক আধিকারিককে হত্যার কথাও তালিবানরা স্বীকার করেছে। শুক্রবার কাবুলের উত্তরে বাগরাম বিমান ঘাঁটির কাছে তালিবান আক্রমণে ন্যাটোর দু’জন সেনার মৃত্যুও হয়েছে।
আর কয়েক দিন পরেই আফগানিস্তানে কর্মরত অধিকাংশ ন্যাটোর সেনা ফিরে যাবে। যার বড় অংশ আবার মার্কিন সেনা। আফগান সেনাকে সাহায্য করা ও প্রশিক্ষণের জন্য ১২ হাজার সেনা থেকে যাবে। এই সুযোগে আক্রমণের ধার বাড়িয়েছে তালিবান। এ দিন হেলমন্দে ল্যান্ডমাইন নিষ্ক্রিয় করার কাজ চলার সময়ে তালিবান বন্দুকবাজ হামলা চালায়। এই আক্রমণে ১২ জন কর্মীর মৃত্যু হয়। আহত হন ১২ জন। আফগান সেনাও পাল্টা জবাব দেয়। এতে চার জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তিন জন জঙ্গি ধরা পড়ে। যুদ্ধবিধস্ত আফগানিস্তান জুড়ে ল্যান্ডমাইনের ছড়াছড়ি। ধীরে ধীরে সেগুলি সরানোর কাজ চলছে। এই কাজের উপরে আগেও তালিবানরা হামলা চালিয়েছে। যেমন, চলতি বছরের জুনে লোগার প্রদেশে তালিবান হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ১২ জনের।
এই ঘটনার কিছু ক্ষণ পরেই কাবুলের সেনার একটি বাসে আত্মঘাতী হামলা হয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছ’সেনার মৃত্যু হয়েছে। মৃত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সংস্থা সূত্রে খবর। এ দিন সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত আতিকুল্লা রাউফি বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময়ে মোটরসাইকেলে আরোহী দুই জঙ্গি গুলি করে হত্যা করেতাঁকে। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে তালিবান। পাশাপাশি শুক্রবার কাবুলের বাগরাম বিমানঘাঁটির কাছে দু’জন ন্যাটোর সেনা মারা গিয়েছে। এই দু’জন কোন দেশের নাগরিক তা জানা যায়নি। এই নিয়ে চলতি বছরে ৬৫ জন ন্যাটোর সেনা মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে ৫০ জন মার্কিনি। এই একের পর এক হামলা সামনের বছরে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন চিহ্ন খাড়া করে দিল।