ইয়েমেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফেরাতে দু’টি জাহাজ পাঠাবে ভারত। শুক্রবার কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এ কথা জানান। ইয়েমেন-র গৃহযুদ্ধে প্রায় তিন হাজার ভারতীয় আটকে পড়েছেন। এর মধ্যেই বিদেশমন্ত্রক ২৪ ঘণ্টার ‘হেল্পলাইন’ চালু করেছে। অন্য দিকে, সৌদি আরবের নেতৃত্বে ‘গল্ফ কোঅপারেশন কাউন্সিল’-এর অন্তর্গত দেশগুলি ইয়েমেন বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। যুদ্ধবিমানগুলি এ দিন প্রধানত উত্তর ইয়েমেন শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীদের উপরে আক্রমণ শানিয়েছে।
বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, ইয়েমেনর সব বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে। ফলে আটকে পড়া ভারতীয়দের বিমানে ফেরানো সম্ভব নয়। তাই ভারতীদের ফেরাতে জলপথকে ব্যবহার করতে হবে। এর জন্য দু’টি জাহাজ পাঠানোর কথা স্থির হয়েছে। যাঁরা জাহাজে আসতে পারবেন না, তাঁদের সড়ক পথে সৌদি আরবে নিয়ে আসা হবে। এ বিষয়ে সৌদি সরকারে সঙ্গে কথা হয়েছে। আটকে পড়া ভারতীয় মধ্যে অনেকেই কেরলার বাসিন্দা। কেরলার মুখ্যমন্ত্রী ওমন চণ্ডী এ বিষয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন। পরে এ নিয়ে বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ওমন চণ্ডীর কথাও হয়। ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। এই অভিযানে সৌদি আরবের পাশে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান। পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ জানিয়েছেন, সৌদি আরব বিপন্ন হলে পাকিস্তান চুপ করে বসে থাকতে পারে না। অভিযানে এর মধ্যে পাক নৌবাহিনী সাহায্য করছে।
অন্য দিকে, সৌদি আরবের এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছে ইরান। ইরানের সরকারে এক মুখপাত্র একে আগ্রাসন অ্যাখ্যা দিয়েছেন। পাশাপাশি হুথি বিদ্রোহীদের সাহায্যের কথাও আবার অস্বীকার করেছে। কিন্তু সৌদি আরবের পক্ষেই দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। মার্কিন বিদেশ সচিব জন কেরি জানিয়েছেন, সৌদি ও সহযোগী দেশগুলির ইয়েমেন অভিযানে নানা ভাবে সাহায্য করা হচ্ছে। দেশগুলির মধ্যে সমন্বয় গড়ে তুলতে একটি কমিটি তৈরি করার কথাও বলেছেন তিনি। এ দিন মিশরে শারমাল শেখে ‘গল্ফ কোঅপারেশন কাউন্সিল’-এর বৈঠক শুরু হয়েছে। সেখানে স্বশরীরে উপস্থিত আছেন ইয়েমেন-র প্রেসিডেন্ট আবেদ রাব্বো মনসুর হাদি। ইয়েমেন ভবিষ্যত নিয়ে এখানে আলোচনা হওয়ার কথা। অন্য দিকে, এই অভিযানের মুখে এখনও অবিচল হুথি বিদ্রোহীরা। এ দিন ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল বের হয়েছে ইরানেও।