নয়াদিল্লিতে পিটিআইয়ের তোলা ছবি।
কুয়াশার ঘনঘটা যেন কাটতেই চাইছে না! গত কয়েক দিন ধরে দিল্লি-সহ গোটা উত্তর ভারত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা। শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি কুয়াশার দাপটে স্বাভাবিক জনজীবন প্রায় থমকে গিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা দিল্লি। কোনও কোনও জায়গায় দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্যের কাছাকাছি পৌঁছেছে। তবে, এ দিন রাজধানীতে ছিল মরসুমের দ্বিতীয় শীতলতম দিন। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা রবিবারের তুলনায় ২.৬ ডিগ্রি বেশি।
পালম বিমানবন্দরের দৃশ্যমানতা ১০০ মিটারের নীচে নেমে যাওয়ায় বেশ কিছু বিমান দেরিতে ছেড়েছে। অন্য দিকে, ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৬টি বিমান বাতিল করা হয়। কুয়াশা রেল চলাচলের উপরও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। রেল সূত্রে খবর, উত্তর ভারত ও দিল্লিগামী ৭৪টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। দেরিতে চলছে ১৭৬টি ট্রেন।
টানা শৈত্যপ্রবাহে উত্তর ভারতে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৪০ জনের। এর মধ্যে সোমবার পর্যন্ত শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশেই ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের গোরক্ষপুর, ইলাহাবাদ, বারাণসী ও আগরায় কুয়াশার প্রভাব সবচেয়ে বেশি। ওই শহরগুলিতে পারদও নামতে শুরু করেছে।
কুয়াশার দাপট থেকেও মুক্তি পায়নি পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড়ও। অমৃতসর-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় দৃশ্যমানতা শূন্যে পৌঁছেছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাও। সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় সিমলাকে হার মানিয়েছে হরিয়ানার কারনাল। সেখানে পারদ নেমেছে ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
উত্তর ভারতের পাশাপাশি পূর্ব ভারতের কয়েকটি রাজ্যও এ দিন ঘন কুয়াশায় আচ্ছ্ন্ন ছিল। পটনায় দৃশ্যমানতা ১০০ মিটারের নীচে নেমে যাওয়ায় সড়ক ও রেল পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রা গত কয়েক দিনের তুলনায় এ দিন সামান্য বেড়েছে। এ দিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরের উপর একটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ায় আগামী দু’তিন দিন তাপমাত্রা কমবে না। ফলে বঙ্গবাসীকে কয়েক দিনের জন্য কনকনে ঠান্ডা থেকে বঞ্চিত থাকতে হবে।