উত্তর ভারতে কুয়াশার দাপটে বিপর্যস্ত রেল ও বিমান পরিষেবা

প্রবল কুয়াশার কারণে কমেছে দৃশ্যমানতা। যার জেরে সোমবার প্রায় ৩৬টি বিমান এবং ৭০টি ট্রেন দেরিতে চলছে দিল্লিতে। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারের নীচে নেমে যাওয়ায় দেরিতে উড়ছে অধিকাংশ বিমান। অন্য দিকে উত্তর রেল জানিয়েছে, দিল্লি থেকে বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ ১১:১১
Share:

সোমবার কুয়াশায় মোড়া দিল্লির ইন্ডিয়া গেট। ছবি: এএফপি।

প্রবল কুয়াশার কারণে কমেছে দৃশ্যমানতা। যার জেরে সোমবার প্রায় ৩৬টি বিমান এবং ৭০টি ট্রেন দেরিতে চলছে দিল্লিতে। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারের নীচে নেমে যাওয়ায় দেরিতে উড়ছে অধিকাংশ বিমান। অন্য দিকে উত্তর রেল জানিয়েছে, দিল্লি থেকে বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। উত্তর ভারতগামী ট্রেনগুলি খুবই দেরিতে চলছে। এর মধ্যে রয়েছে দিল্লিগামী কলকাতা-রাজধানী এক্সপ্রেস, রাঁচি এক্সপ্রেস, ভুবনেশ্বর এক্সপ্রেস, মগধ ও লিচ্ছবি এক্সপ্রেস এবং পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস। এ দিন সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ, কনকনে ঠান্ডা রাজধানীতে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা গত পাঁচ বছর ও এই মরসুমের শীতলতম দিন বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।

Advertisement

ভোরের দিকে রাজধানীর দৃশ্যমানতা নেমে যায় শূন্যতে। সকাল ন’টার পর থেকে দৃশ্যমানতা ১৫০ মিটার হওয়ায় বিমানগুলি একে একে ছাড়তে শুরু করে। রাজ্যের আবহবিদরা জানিয়েছেন, দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতি উন্নতি হবে।

রবিবার দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Advertisement

গত দু’দিন ধরে উত্তর ভারতজুড়ে প্রবল শৈত্যপ্রবাহ চলছে। যার প্রকোপে উত্তরপ্রদেশে রবিবার মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। জম্মু-কাশ্মীরে মৃত্যু হয় এক জনের। তবে এ দিন নতুন করে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া না গেলেও প্রবল ঠান্ডা ও কুয়াশায় জবুথবু হয়ে পড়েছে গোটা উত্তর ভারত।

রবিবার থেকেই জম্মু-কাশ্মীর উপত্যকায় শুরু হয়েছে প্রবল শৈত্যপ্রবাহ। স্থানীয় ভাষার সেই ‘চিল্লাই কালান’-এর জেরে উপত্যকাজুড়ে প্রবল তুষারপাত হচ্ছে।

পঞ্জাবে গত চার দিন ধরে চলছে কুয়াশার দাপট। সেই সঙ্গে বইছে ঠান্ডা হাওয়া। রবিবার অমৃতসরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশার প্রভাব পড়েছে রেল ও সড়ক পরিবহণেও।


কুয়াশাচ্ছন্ন সংসদ ভবন। সোমবার পিটিআইয়ের তোলা ছবি।

হিমাচল প্রদেশে আগামী দু’তিন দিনের তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে রাজ্য আবহাওয়া দফতর। পাহাড়ি এলাকায় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেক নীচে নেমে যায়। সেখানকার কেলং, মানালি ও কল্পাতে রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে হিমাঙ্কের ৭,৩ ও ১.৬ ডিগ্রি নীচে। কুলু ও মানালিতে জল সরবরাহ ব্যাহত হয়। প্রবল তুষারপাতের কারণে মানালি-কেলং হাইওয়ে বন্ধ হয়ে যায়। পরে তা পরিষ্কার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয় বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। আগামী ৭২ ঘণ্টায় রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

হরিয়ানায় রবিবার সারা দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ চলেছে। সেখানে তাপমাত্রা এক ধাক্কায় স্বাভাবিকের তুলনায় চার ডিগ্রি নীচে নেমে যায়। হিসার, অম্বালায় রাতের তাপমাত্রা ছিল ৪-৬ ডিগ্রির আশপাশে। রাজস্থানে ঠান্ডার ছবিটাও প্রায় একই রকম। রবিবার চুরুতে তাপমাত্রার পারদ নেমে যায় হিমাঙ্কের ৫ ডিগ্রি নীচে। এই মরসুমের শীতলতম দিন ছিল সেখানে।


সিমলায় তুষারপাত। রবিবার পিটিআইয়ের তোলা ছবি।

যে ট্রেনগুলি দেরিতে চলছে—

• শহিদ এক্সপ্রেস (অমৃতসর-জয়নগর)

• নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেস (আনন্দবিহার-গুয়াহাটি)

• আনন্দবিহার-যোগবনি

• শতাব্দী এক্সপ্রেস (নয়াদিল্লি-কালকা)

• গোমতী এক্সপ্রেস (লখনউ-নয়াদিল্লি)

• সম্পূর্ণক্রান্তি এক্সপ্রেস (পটনা-নয়াদিল্লি)

• বিক্রমশিলা এক্সপ্রেস (ভাগপুর-আনন্দবিহার)

• রাজধানী এক্সপ্রেস (পটনা-নয়াদিল্লি)

• দ্বারভাঙা-নয়াদিল্লি সম্পর্ক ক্রান্তি

• সপ্তক্রান্তি এক্সপ্রেস (মুজফফরপুর-আনন্দবিহার)

• রাজধানী এক্সপ্রেস (ডিব্রুগড়-নয়াদিল্লি)

• আওয়াধ-অসম এক্সপ্রেস

• ব্রহ্মপুত্র মেল

• গরিব রথ (গয়া-আনন্দবিহার)

• হিমগিরি এক্সপ্রেস (হাওড়া-জম্মু-তাওয়াই)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন