রানাঘাট-কাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবারেই রানাঘাট শহরে ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দিয়েছিল এসইউসিআই। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে শহর জুড়ে যে ভাবে বন্ধ পালিত হল তা শেষ কবে দেখেছেন মনে করতে পারছেন না রানাঘাটবাসী। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তৃণমূল পরিচালিত রানাঘাট পুরসভার সামনে পিকেটিং করাকে কেন্দ্র করে পুরকর্মীদের একাংশের সঙ্গে এসইউসিআই কর্মীদের বচসা ছাড়া এ দিনের বন্ধ শান্তিপূর্ণ ভাবেই পালিত হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রশ্ন উঠছে, যে শহরে এসইউসিআইয়ের মতো দলের সেই অর্থে তেমন জোরদার সংগঠন নেই, সেখানে এই বন্ধে এমন সাড়া মিলল কী করে? তবে কি পুলিশ এবং সিআইডি-র যৌথ ব্যর্থতার কারণে রাজ্যের শাসক দলকে এ ভাবেই বার্তা দিলেন এলাকার বাসিন্দারা? বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, কোন দল বন্ধ ডেকেছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। প্রতিবাদটাই মূল কথা। তাঁরা সেই প্রতিবাদের পক্ষেই সাড়া দিয়েছেন, সহযোগিতা করেছেন। এসইউসিআই-র জেলা সম্পাদক মৃণাল দত্ত বলেন, “এ দিনের বন্ধ যে ভাবে শান্তিপূর্ণ ও সফল হয়েছে তার পুরো কৃতিত্বটাই এই শহরের মানুষের।”
এ দিনও সকাল ১০টা থেকে রানাঘাটের ওই কনভেন্টের সামনে বসে ছবি এঁকে, গান গেয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানান রানাঘাট প্রতিবাদী মঞ্চের সদস্যরা। বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ রানাঘাটে আসেন ‘আমরা আক্রান্ত’র অম্বিকেশ মহাপাত্র, মৌসুমী কয়াল, জগদীশ বিশ্বাস, প্রমীলা বিশ্বাস-সহ ১৬ জন সদস্য। তাঁরা রানাঘাট হাসপাতাল, স্কুল ঘুরে দেখা করেন প্রতিবাদী মঞ্চের সদস্যদের সঙ্গেও। ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন সন্ধ্যায় স্থানীয় বেশ কয়েকটি স্কুলের পড়ুয়ারা মিছিল করে। মিছিল করে এসএফআইও।