কাবুল বিমানবন্দরে তালিবান হামলা, নিহত চার জঙ্গি

ত্রিপোলি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরে এ বার আক্রান্ত হল কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বৃহস্পতিবার ভোরে তালিবানরা এই হামলা চালায়। নিরাপত্তারক্ষীদের পাল্টা হামলায় চার জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। তবে বিমানবন্দরের কোনও ক্ষতি হয়নি। সেটি আপাতত বন্ধ রয়েছে। আফগানিস্তানে ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে তালিবান। কাবুলে ঢোকার পথে ন্যাটোর তেলবাহী ট্যাঙ্কার পুড়িয়ে দেওয়া থেকে মঙ্গলবার আফগানিস্তানের পূর্বে পাকতিকা প্রদেশের ওরগুন রাজ্যের একটি বাজারে বিস্ফোরণ কয়েক মাসের মধ্যে এমনই বেশ কয়েকটি বড়সড় হামলা চালিয়ে তালিবানরা সেই শক্তির প্রমাণ দিয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৪ ১০:২১
Share:

কাবুল বিমানবন্দরে জঙ্গি দমনে আফগান সুরক্ষাবাহিনী। ছবি: এএফপি।

ত্রিপোলি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরে এ বার আক্রান্ত হল কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বৃহস্পতিবার ভোরে তালিবানরা এই হামলা চালায়। নিরাপত্তারক্ষীদের পাল্টা হামলায় চার জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। তবে বিমানবন্দরের কোনও ক্ষতি হয়নি। সেটি আপাতত বন্ধ রয়েছে।

Advertisement

আফগানিস্তানে ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে তালিবান। কাবুলে ঢোকার পথে ন্যাটোর তেলবাহী ট্যাঙ্কার পুড়িয়ে দেওয়া থেকে মঙ্গলবার আফগানিস্তানের পূর্বে পাকতিকা প্রদেশের ওরগুন রাজ্যের একটি বাজারে বিস্ফোরণ কয়েক মাসের মধ্যে এমনই বেশ কয়েকটি বড়সড় হামলা চালিয়ে তালিবানরা সেই শক্তির প্রমাণ দিয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো বাহিনী সরে যাবে। এখনও পরবর্তী আফগান প্রেসিডেন্টের নির্বাচন হয়নি। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, আশরাফ গনি এবং আবদুল্লা আবদুল্লা কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন। এ নিয়ে কাবুলে একাধিক মিছিলও হয়েছে। ফলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি যথেষ্ঠ উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। কারচুপি হয়েছে কি না দেখতে এ দিনই কাবুলে ভোটের অডিট শুরু হওয়ার কথা। বিপুল এই প্রক্রিয়া শেষ করতে বেশ কয়েক সপ্তাহ লাগবে। তার মধ্যে এই হামলা রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়াবে বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা।

আফগান প্রশাসন সূত্রে খবর, এ দিন ভোরে জঙ্গিরা কাবুল বিমানবন্দরের কাছে গাড়িবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এর পরে বিমানবন্দরের কাছে নির্মীয়মাণ একটি বাড়ির দখল নেয় তারা। সেখান থেকে গুলির লড়াই চালাতে থাকে তারা। প্রথমে এগিয়ে যায় আফগান পুলিশ। পরে যোগ দেয় আফগান সেনা। নিরাপত্তা বাহিনীর বাধায় জঙ্গিরা বিমানবন্দরের ভিতরে ঢুকতে পারেনি। ফলে বিমানবন্দরটি অক্ষত আছে বলে আফগান প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জঙ্গিরা বেশ কয়েকটি রকেট ছুড়েছে। একাধিক তীব্র বিস্ফোরণের শব্দও বাসিন্দারা শুনতে পেয়েছেন। এই সময়ে কাবুলগামী সব বিমানকে অন্য আফগান শহরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা লড়াইয়ের পরে চার জঙ্গির মৃত্যু হয়। আফগান স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে খবর, হামলার পরে বিমানবন্দরে তল্লাশি চালানো হয়েছে। বিমানবন্দরটি সুরক্ষিতই রয়েছে। এই বিমানবন্দরে ন্যাটো সেনার প্রধান কার্যালয়। ফলে জায়গাটি কাবুলের অন্যতম সুরক্ষিত অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। কিন্তু সেখানে এই হামলা আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা আরও জোরালো করল বলে বিশেষজ্ঞদের মত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement