কাশ্মীরে নিহত সঙ্কল্পের রাজ্যে গিয়ে জঙ্গিদের হুঁশিয়ারি মোদীর

শুক্রবারে টুইট্যারেই কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনার নিন্দা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে কাশ্মীরের ওই ঘটনার কড়া জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিলেন তিনি। উত্তর কাশ্মীরের বারামুলা জেলার উরি সেক্টরের সেনা ছাউনিতে শুক্রবার আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রাঁচি শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ২১:২৫
Share:

হাজারিবাগের সভায় হুঁশিয়ারি মোদীর। ছবি: পিটিআই।

শুক্রবারে টুইট্যারেই কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনার নিন্দা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে কাশ্মীরের ওই ঘটনার কড়া জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিলেন তিনি।

Advertisement

উত্তর কাশ্মীরের বারামুলা জেলার উরি সেক্টরের সেনা ছাউনিতে শুক্রবার আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘটনায় অন্য দশ জনের সঙ্গে রাঁচির বাসিন্দা, পঞ্জাব রেজিমেন্টের লেফ্টেন্যান্ট কর্নেল সঙ্কল্প শুক্লরও মৃত্যু হয়। সে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে, প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় কাশ্মীর সফরের আগে আগেই ওই ঘটনা। সোমবার সেখানে যাওয়ার কথা নরেন্দ্র মোদীর। কিন্তু তার আগে ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নিবার্চনের প্রচার-মঞ্চকেই ব্যবহার করলেন প্রধানমন্ত্রী। এ দিন হাজারিবাগে মোদী তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই ঝাড়খণ্ডের ভূমিপুত্র লেফ্টেন্যান্ট কর্নেল শুক্ল-সহ কাশ্মীরে নিহত জওয়ানদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানান। একই সঙ্গে সময়মতো এই ঘটনার জবাব দেওয়া হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন। সঙ্কল্পকে ‘ঝাড়খণ্ড কে লাল’ বলে সম্বোধন করে মোদী বলেন, “ঝাড়খণ্ড আর গোটা দেশ তাঁর বলিদানকে মনে রাখবে।” তিনি আরও বলেন, “জঙ্গিরা গণতন্ত্রের উপরে আঘাত করেছে। কাশ্মীরে এত ভোট পড়েছে যে জঙ্গিরা হতাশ হয়েই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ঠিক সময়ে এর জবাব দেওয়া হবে।”

রাঁচির বুটি মোড়ের কাছে কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা শুক্ল পরিবার। তাঁর স্ত্রী প্রিয়া ও দুই কন্যা সারা এবং মান্না থাকেন বিহারের দানাপুরে। বাবা এস কে শুক্ল আর মা সুষমা শুক্ল কৃষ্ণনগরের বাংলোয় রয়েছেন। দুর্ঘটনার আগের দিন রাতেও সুদূর উরি থেকে টেলিফোনে মায়ের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন সঙ্কল্প। পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১৯৯৯ সালে চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই পঞ্জাব রেজিমেন্টের এই অফিসার কাশ্মীরেই কর্মরত ছিলেন। ২০০৪ সালেও জঙ্গিদের গুলিতে এক বার গুরুতর জখম হন সঙ্কল্প। শুক্রবার রাতে তাঁর মৃত্যুর খবর পৌঁছয় কৃষ্ণনগরের বাড়িতে। রামগড় ক্যান্টনমেন্ট থেকে শুক্ল পরিবারের কাছে বাড়ির একমাত্র ছেলের মৃত্যুর খবর পৌঁছে দেওয়া হয়। শোকে ভেঙে পড়েন বাবা-মা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন