কয়লা খনি বণ্টন মামলায় মনমোহনকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিল আদালত

এর আগে কয়লা খনি বণ্টন দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালত প্রশ্ন তুলেছিল, কেন তত্কালীন কয়লামন্ত্রীকে জেরা করা হয়নি? মঙ্গলবার সেই আদালতই ওই মামলায় তত্কালীন কয়লামন্ত্রীর বক্তব্য জানতে সিবিআইকে নির্দেশ দিল। এ দিন দিল্লিতে বিশেষ আদালত ওই নির্দেশে জানিয়েছে, মামলার পুনরায় তদন্ত হোক। অন্য আধিকারিকের পাশাপাশি এই দুর্নীতি বিষয়ে প্রাক্তন কয়লামন্ত্রীর বক্তব্য জানার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৪:১৭
Share:

এর আগে কয়লা খনি বণ্টন দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালত প্রশ্ন তুলেছিল, কেন তত্কালীন কয়লামন্ত্রীকে জেরা করা হয়নি?

Advertisement

মঙ্গলবার সেই আদালতই ওই মামলায় তত্কালীন কয়লামন্ত্রীর বক্তব্য জানতে সিবিআইকে নির্দেশ দিল। এ দিন দিল্লিতে বিশেষ আদালত ওই নির্দেশে জানিয়েছে, মামলার পুনরায় তদন্ত হোক। অন্য আধিকারিকের পাশাপাশি এই দুর্নীতি বিষয়ে প্রাক্তন কয়লামন্ত্রীর বক্তব্য জানার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। কয়লা মন্ত্রক ছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহেরই হাতে। এ দিন বিশেষ আদালতের বিচারক ভরত পরাশর বলেন, “আমি এই মামলার পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছি। আশা করি, অন্য আধিকারিকদের পাশাপাশি প্রাক্তন কয়লামন্ত্রীর বয়ান এ বার রেকর্ড করা হবে।”

২০০৫ সালে ওড়িশায় দু’টি কয়লা খনি বণ্টন করা হয় কুমারমঙ্গলম বিড়লার কোম্পানি হিন্ডালকো-কে। তখন কয়লামন্ত্রী মনমোহন। এবং ওই দফতরের সচিব ছিলেন পি সি পারেখ। পরে ওই বণ্টন ব্যবস্থায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মামলা হয়। ২০১৩-র অক্টোবরে প্রাক্তন কয়লাসচিব পি সি পারেখ এবং শিল্পপতি কুমারমঙ্গলম বিড়লার নামে এফআইআর করে সিবিআই। অভিযোগ, স্ক্রিনিং কমিটির সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করে হিন্ডালকো-কে খনি বণ্টনের বরাত দিয়েছিলেন পারেখ। কংগ্রেসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জেরেই ওই বরাত পাইয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করে বিরোধীরা। ওই খনি বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে গত ২৫ নভেম্বর দিল্লির বিশেষ আদালতে শুনানির সময় বিচারক পরাশর সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, “আপনাদের কি মনে হয়নি, এ বিষয়ে কয়লামন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি? আপনাদের মনে হয়নি যে স্পষ্ট ছবিটা পেতে ওঁর বক্তব্যটাও দরকার?” সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী দফতরের তৎকালীন প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি টি কে এ নায়ার এবং জাভেদ উসমানিকে প্রশ্ন করার পর মনমোহন সিংহকে আর জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন বলে মনে হয়নি। আদালত ওই দিন এই মামলার পুলিশ ফাইল এবং কেস ডায়েরি দেখতে চায়।

Advertisement

তবে, এ দিনের নির্দেশে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের হাত থেকে আর হয়তো ছাড় পাবেন না মনমোহন। আগামী ২৭ জানুয়ারি তদন্তের গতিপ্রকৃতি সংক্রান্ত রিপোর্ট সিবিআইকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন