ম্যাচ জেতার পর মাঠ ছাড়ছে ডেভিলিয়ার্স বাহিনী। ছবি: রয়টার্স।
গ্রুপ ম্যাচের শেষ খেলায় সহজ জয় পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও একটুর জন্য শতরান হাতছাড়া হল ডেভিলিয়ার্সের। ১৭৮টি ম্যাচে এই প্রথম ৯৯ এ আউট হলেন ডেভিলিয়ার্স। আর এই জয়ের ফলে গ্রুপ বি-এ ৬টি ম্যাচে ৮ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকল তারা। পাঁচ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পেয়ে গ্রুপ শীর্ষে এখন ধোনি বাহিনী। বিশ্বকাপ শুরুর আগে অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকা পারফর্ম্যান্সের নিরিখে ভারতের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল। বিশ্বকাপে শুরুর থেকেই ছবিটা একেবারে পাল্টে যেতে লাগল। ব্যাটিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে বোলিং বিভাগও যথেষ্ট শুধরে ভারত এখন গ্রুপ শীর্ষে। আর এ দিকে চোট-আঘাতে জর্জরিত দক্ষিণ আফ্রিকা। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে তিনটি খেলায় দলের বাইরে থাকতে হয়েছে ফিলান্ডারকে, কোমরের চোট ভোগাচ্ছে দুপ্লেসিকে। এর মধ্যে ভারতের সঙ্গে ১৩০ রানে হার এবং পাকিস্তানের সঙ্গে খেলায় ডাকওয়ার্থ লুইসে ২৯ রানে পরাজয়। গ্রুপ ম্যাচের এই দু’টি খেলায় হার যথেষ্ট চাপে রেখেছিল ডেভিলিয়ার্স বাহিনীকে। তাই গ্রুপ ম্যাচের শেষ খেলায় বড় ব্যবধানে জয় পাওয়ায় কাপ জেতার লক্ষ্যে নিজেদের এখনও এগিয়ে রাখল। তবে কয়েকটা বিষয় এখনও বেশ চিন্তায় রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকার থিঙ্ক ট্যাঙ্ককে। ১) কুইন্টন ডি ককের খারাপ ফর্ম অব্যাহত। চলতি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত তাঁর ব্যাটিং গড় ৮.৩৩। পরিস্থিতিটা এতটাই খারাপ যে কুইন্টন ডি কককে বসিয়ে ডেভিলিয়ার্সকে কিপিংয়ে দায়িত্ব নিতে পরামর্শ দিয়েছেন হোল্ডিং। ২) স্পিন বোলিংয়ের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দূর্বলতাটা যথেষ্ট চোখে পড়ছে। যা সংযুক্ত আরব আমিরশাহি-র মত দলের বিরুদ্ধেও চোখে পড়ছে। এই ম্যাচের আগে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ডেভিলিয়ার্স তো বলেই ফেললেন, “আমি চাই, আমাদের আরও কিছু সতীর্থ ফর্মে ফিরুক। সর্বপরি আমরা একটা ভালো পারফর্ম্যান্স দেখাতে চাই।” এর থেকেই ডেভিলিয়ার্স বাহিনীর ফর্মে ফেরার মরিয়া অবস্থাটা বেশ আন্দাজ করা যায়।