গ্রাহক সেজে ব্যাঙ্ক ডাকাতি তমলুকে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৪ ২১:৪৪
Share:

গ্রাহক সেজে ব্যাঙ্কে ঢুকে প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ টাকা লুঠ করে পালাল দুষ্কৃতীরা। ব্যাঙ্ক অফ বরোদার তমলুক শাখায় মঙ্গলবার সকালে ডাকাতির এই ঘটনা ঘটে।

Advertisement

তাত্পর্যপূর্ণভাবে এ দিন ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদের হদিশ পাওয়াও কঠিন বলে জানায় পুলিশ। কারণ, ক্যামেরার ছবি ও তথ্য যে কম্পিউটারে ধরা থাকে তার হার্ড ডিস্কও ম্যানেজারের ঘর থেকে খুলে নিয়ে গিয়েছে তারা।

কী হয়েছিল এ দিন সকালে?

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘড়িতে তখন পৌনে ১০টা। তমলুক শহরের হাসপাতাল মোড়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ওই শাখায় তখন দিনের কাজ শুরুর প্রস্তুতি চলছে। ভিতরে ম্যানেজার-ক্যাশিয়ার-সহ তিন কর্মী। বাইরে সব মিলিয়ে মোট পাঁচ জন গ্রাহক। হঠাৎ ব্যাঙ্কের সামনে মোটর সাইকেলে করে হাজির হয় চার দুষ্কৃতী। গ্রাহক সেজেই তারা ঢুকে পড়ে ভিতরে। ম্যানেজার বিনোদকুমার আরিয়া বলেন, “আমি তখন সবে হাজিরা খাতায় সই করছি। আচমকাই কোমরের কাছে কিছু একটা ঠেকতে তাকিয়ে দেখি রিভালভার।” টুঁ-শব্দ করলেই গুলি চালানো হবে, এই হুমকি দিয়ে বিনোদকুমার-সহ বাকি কর্মীদের ব্যাঙ্কেরই একটি ঘরে ঢুকিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। তার পর চাবি হাতিয়ে লকার খুলে ফেলে দুষ্কৃতীদের এক জন। প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ টাকা সেখান থেকে বের করে নিয়ে চম্পট দেয় তারা। ভিতরে যখন ‘কাজ’ সারছিল ওই তিন জন, তাদের এক সঙ্গী তখন বাইরের দরজার কাছে পাহারা দিচ্ছিল। কোনও গ্রাহক যাতে ভিতরে ঢুকে না পড়ে। ওই সময় ব্যাঙ্কে হাজির ছিলেন যে পাঁচ গ্রাহক, তাঁদেরও একটি ঘরে জোর করে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।

কিন্তু ব্যাঙ্কে এমন ঘটনা ঘটলে তো অ্যালার্ম বাজানো হয়। সেই সময় ব্যাঙ্কের কাছাকাছি থাকা কেউই কোনও বিপদ সঙ্কেত শুনতে পাননি। তবে কি বাজানো হয়নি সেই সঙ্কেত? ঘটনার পর ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “দুষ্কৃতীদের লুকিয়ে আমি অ্যালার্ম বাজানোর সুইচটাতে বেশ কয়েক বার চাপ দিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও আওয়াজই বেরোয়নি।” প্রায় কুড়ি মিনিট ধরে ডাকাতি চালায় সশস্ত্র ওই দুষ্কৃতী দল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement