নার্সিংহোমে আহত শিখাদেবী। ছবি: তরুণ দেবনাথ।
ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় এক মহিলা যাত্রীকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের ত্রিপুর স্টেশনের কাছে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ। আহত মহিলার নাম শিখা মিত্র (৬০)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে রায়গঞ্জের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে।
কলকাতা স্টেশন থেকে ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ ভাগ্নীকে নিয়ে রায়গঞ্জগামী রাধিকাপুর এক্সপ্রেসে ওঠেন কলকাতার যাদবপুরের বাসিন্দা শিখাদেবী। রায়গঞ্জে এক আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর ভাগ্নী জানান, মাঝরাতে হঠাত্ই তিনি টের পান কেউ তাঁর ব্যাগ ধরে টানছে। সঙ্গে সঙ্গে চিত্কার করতে থাকেন তিনি। চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙে যায় শিখাদেবী-সহ অন্য যাত্রীদের। পরিস্থিতি আঁচ করে দুষ্কৃতীকে ধাওয়া করেন শিখাদেবী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধস্তাধস্তির সময় শিখাদেবীকে ধাক্কা মেরে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতী। এর পরেই চেন টেনে ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দেন যাত্রীরা। অভিযোগ জানানো হয় কর্তব্যরত আরপিএফকেও। কিন্তু এর পরেও আরপিএফ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে যাত্রীদের অভিযোগ। এমনকী যাত্রীদের সঙ্গে তাঁরা দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। রায়গঞ্জ স্টেশনে পৌঁছে রেলের কর্মীদের বিষয়টি জানালে তাঁরাই রেল পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিখাদেবীকে উদ্ধার করেন জিআরপি ও রেলের আধিকারিকেরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে এক জন দুষ্কৃতীকে দেখা গেলেও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, তার সঙ্গে আরও অনেকে ওই ট্রেনে উঠেছিল। সব জেনেও আরপিএফ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কেন সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।