আগে থেকে ভেন্টিলেশনের কোনও ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যার সামাল দিতে কোনও রকমে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে একটা ভেন্টিলেটর যন্ত্র জোগাড় করেছিল ট্রপিক্যাল স্কুল অফ মেডিসিন। তবে, ভেন্টিলেটর ভাড়া করে আনতে পারলেও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ভাড়া পাওয়া যায়নি কোনও অপারেটর। ফলে, বৃহস্পতিবার রাতে মুর্মূষু অবস্থায় রোগীকে রেফার করে দেওয়া হয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত বছর ছাপ্পান্নর নারায়ণ সরকারের।
কাঁচরাপাড়ার বিক্রমপুর কলোনির বাসিন্দা নারায়ণ সরকার পেশায় কেন্দ্রীয় সরকারের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো-র কর্মী। কর্মসূত্রে ছিলেন অসমের গুয়াহাটিতে। জুন মাসের মাঝামাঝি ধুম জ্বর আসে তাঁর। ক্রমেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় অচেতন অবস্থায় শয্যাশায়ী হয়ে যান তিনি। এর পরেই গুয়াহাটির এক স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ভর্তি করা হয় গুয়াহাটির একটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে নারায়ণবাবুর রক্ত পরীক্ষা করা হলে তাঁর শরীরে জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ওই হাসপাতালে প্রায় তিন দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। অবস্থার বিশেষ উন্নতি না হওয়ায় তাঁর পরিবার নারায়ণবাবুকে সেখানকার বেসরকারি এক হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে রোগীর অবস্থার কোনও উন্নতি হয় না। এর পরে তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয় পশ্চিমবঙ্গে।