জঙ্গিদের দ্রুত ফাঁসিতে ঝোলাতে সক্রিয় পাকিস্তান

সন্ত্রাসের অপরাধে প্রায় ৫০০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরী হতে চলেছে পাকিস্তানে। এমনটাই জানিয়েছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলি খান। তবে পাক-প্রশাসনের তরফে জানান হয়েছে, আপাতত সন্ত্রাসের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫৫ জনের শাস্তি কার্যকরী হবে। অন্য দিকে, পাক-প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ অ্যাটর্নি জেনারেলকে সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত মামলাগুলির দ্রুত ফয়সালার বিষয়ে উদ্যোগী হতে বলেছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৯:০১
Share:

সন্ত্রাসের অপরাধে প্রায় ৫০০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরী হতে চলেছে পাকিস্তানে। এমনটাই জানিয়েছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলি খান। তবে পাক-প্রশাসনের তরফে জানান হয়েছে, আপাতত সন্ত্রাসের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫৫ জনের শাস্তি কার্যকরী হবে। অন্য দিকে, পাক-প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ অ্যাটর্নি জেনারেলকে সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত মামলাগুলির দ্রুত ফয়সালার বিষয়ে উদ্যোগী হতে বলেছেন।

Advertisement

পেশোয়ারে স্কুলে হামলার পরে সন্ত্রাস বিষয়ে কড়া হতে শুরু করে পাকিস্তান। এক দিকে, তালিবানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান জোরদার করা হয়েছে। যৌথ অভিযান চালানোর ব্যাপারে আফগানিস্তানে গিয়ে আলোচনা করেছেন পাক-সেনাপ্রধান রাহিল শরিফ। সেই মতো সোমবার পাক-আফগান সীমান্তে অভিযান শুরু করেছে আফগান সেনা। অন্য দিকে, সন্ত্রাসবিরোধী কাজের জন্য মৃত্যুদণ্ডের উপরে জারি করা স্থগিতাদেশ তুলে নেন পাক-প্রধানমন্ত্রী। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্যে নানা ছাড় পেতে এই স্থগিতাদেশ জারি ছিল। এই ঘোষণার কয়েক দিন পরেই ফয়সলাবাদে সন্ত্রাসের অপরাধে ডাক্তার উসমান ও আরশাদ মেহমুদ-এর ফাঁসি হয়। এর পরে আরও চার জনের ফাঁসি হয়। এ বার সেই সংখ্যা দ্রুত বাড়বে বলে অনেকের আশঙ্কা।

২০১২ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কাছে মৃত্যুদণ্ড মকুবের জন্য ৫৫টি আবেদন এসেছিল। কিন্তু স্থগিতাদেশ থাকায় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। স্থগিতাদেশ উঠে যাওয়া পরে এই ৫৫ জনের আর্জি পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছেন বর্তমান প্রসিডেন্ট মামনুন হুসেন। কয়েক দিনের মধ্যেই এদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরী হবে।

Advertisement

সাধারণত প্রেসিডেন্ট মৃত্যুদণ্ড মকুবের আর্জি খারিজ করলে তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে যায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এর পরে ‘ব্ল্যাক ওয়ারেন্ট’ জারি করে। তার পরে ফাঁসি হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হতে প্রায় ১৪ দিন লেগে যায়। কিন্তু এ বার তা চার দিনের মধ্যেই হয়ে যাবে। এই অপরাধীদের মধ্যে অধিকাংশই পঞ্জাবের নানা জেলে বন্দি। দ্রুত ফাঁসির জন্য পঞ্জাব এর মধ্যে এই সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে ফেলেছে। আগে ভোর চারটের সময়ে ফাঁসি দেওয়া যেত। আইন সংশোধনের পরে এ বার দিনের যে কোনও সময়ে ফাঁসি দেওয়া যাবে।

অন্য দিকে, পাক-প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ সোমবার পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেলকে সন্ত্রাস-সংক্রান্ত মামলাগুলির বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগী হতে বলেছেন। এর মধ্যে যে সব ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের উপরে কোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছে সেগুলির দিকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে মামলার যাতে দ্রুত ফয়সলা হয় তা দেখতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে এই ধরনের মামলাগুলি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বিচার করা যায় কি না তা-ও খতিয়ে দেখতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন পাক-প্রধানমন্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন