বিধ্বস্ত বিমান বন্দর। ছবি: রয়টার্স
করাচির জিন্না আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করল মার্কিন প্রশাসন। ওই আক্রমণে নিহত এবং আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানানো হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে পাকিস্তানকে সব রকম ভাবে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে হোয়াইট হাউস। পাশাপাশি বিমানবন্দর জঙ্গিমুক্ত করতে পাক-বাহিনীর ভূয়সী প্রশংসাও করেছে মার্কিন প্রশাসন।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট-এর এক মুখপাত্র মঙ্গলবার বলেন, “নিন্দনীয় এবং ভয়াবহ এই আক্রমণের তদন্তে পাকিস্তানকে সব রকমের সাহায্য করতে প্রস্তুত আমেরিকা।” সোমবার হোটাইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি জোশ আর্নেস্ট বলেন, “এই আক্রমণ অত্যন্ত নিন্দনীয়। জঙ্গি হানায় নিহত এবং আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং সমবেদনা রইল।
রবিবার মাঝ রাতে ১০ সশস্ত্র জঙ্গি হামলা চালায় করাচি বিমানবন্দরে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাহিনী, আধা সেনা রেঞ্জার্স বাহিনী এবং পুলিশ যৌথ ভাবে প্রায় ১২-১৩ ঘণ্টার চেষ্টায় বিমানবন্দর চত্বর জঙ্গিমুক্ত করে। এই ঘটনায় ১০ জঙ্গি-সহ মোট ২৯ জন নিহত হন।
এ দিন এক বার্তায় মার্কিন প্রশাসন স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে, সন্ত্রাস রুখতে পাকিস্তানের পাশেই আছে তারা। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র মেরি হার্ফ বলেন, “পাকিস্তানে বিশেষ করে পাক সীমান্ত এলাকায় তেহরিক-ই-তালিবান-সহ বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। এদের হামলার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না দেশের সাধারণ মানুষও। আমেরিকা বহু বছর ধরে পাকিস্তানের সঙ্গে সন্ত্রাস দমনে কাজ করে যাচ্ছে।” পাশাপাশি তিনি জানান, এই ধরনের জঙ্গি সংগঠনগুলিকে নিরীহ মানুষ মারা বন্ধ করতে হবে। দেশবাসীর সুরক্ষায় পাকিস্তান সরকারেরও যথেষ্ট দায়বদ্ধতা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তাঁর কথায়: “জঙ্গি সংগঠনগুলির নিশানায় সব সময় নিরীহ সাধারণ মানুষই থাকে। সরকারের কাজ তার নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখা। পাক সরকার সেই কাজই করছে।”
এদিন ঘটনার নিন্দা করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব বান কি মুন।