দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পেলেন গুলজার। শনিবার কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে। সাত সদস্যের এক জুরি বোর্ড তাঁকে এ বছরের পুরস্কারের জন্য বেছে নিয়েছে। ২০০৪-এ তিনি পদ্মভূষণ পেয়েছিলেন।
১৯৩৪ সালে বর্তমান পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে তাঁর জন্ম হয়। নাম ছিল সমপূরণ সিংহ কালরা। দেশভাগের পরে গুলজারের পরিবার অমৃতসরে চলে গেলেও তিনি মুম্বই চলে আসেন। তখন গ্যারাজে কাজ করতেন। অবসর সময়ে লিখতেন কবিতা।
১৯৫৬-এ বিমল রায়ের ‘বন্দিনী’ ছবিতে নূতনের লিপে তাঁর লেখা ‘মোরা গোরা অঙ্গ লেই লে...’ প্রথম আলোড়ন তোলে। তার পরে ‘তুজ সে নজর নেহি...’, ‘তেরে বিনা জিন্দেগি সে...’ থেকে হাল আমলের ‘জয় হো...’ একের পর এক বিখ্যাত গান তাঁর লেখা। সুরকার হিসেবে পেয়েছেন শচীনদেব বর্মণ, সলিল চৌধুরী, শঙ্কর জয়কিষেণ, লক্ষ্মীকান্ত-প্যারেলাল, মদন মোহন হয়ে এ আর রহমানকেও। ২০০৯-এ ‘স্লাম ডগ মিলিওনিয়ার’ ছবিতে রহমানের সুরে তাঁর লেখা ‘জয় হো...’ গানটি অস্কার জেতে।
গান লেখার পাশাপাশি তিনি চলচ্চিত্র পরিচালনাও করেছেন। তাঁর পরিচালিত ‘আঁধি’, ‘মাসুম’ সমালোচক মহলে উচ্চপ্রশংসিত হয়েছে। ছোটপর্দার জন্য তৈরি করেছেন ‘মির্জা গালিব’ এবং ‘তহরির মুন্সী প্রেমচন্দ কি’। দূরদর্শনের ধারাবাহিক ‘হ্যালো জিন্দেগি’, ‘পোটলি বাবা কি’ এবং ‘জঙ্গল বুক’-এর জন্য লেখা তাঁর গান খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। পুরস্কার হিসেবে তিনি স্বর্ণকমল, দশ লক্ষ টাকা ও একটি শাল পাবেন। পুরস্কার পেয়ে গুলজার বলেন, “আমি খুশি। সম্মানিত বোধ করছি। সবাইকে ধন্যবাদ।”