দুর্গাপুরে ওয়েবেলে হামলা, তৃণমূল কাউন্সিলর-সহ ধৃত তিন

শিল্পক্ষেত্রে শাসকদলের ‘দাদাগিরি’র অভিযোগের তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। এ বার দুর্গাপুরে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ওয়েবেলের অফিস। অভিযোগ উঠেছে, দাবি মতো চাঁদা না দেওয়ায় স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সেখানে ব্যাপক হামলা চালায় তাঁর এক দল অনুগামী। সংস্থার কর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে কাউন্সিলর হীরা বাউরি-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৪ ১৫:৪৫
Share:

প্রধান অভিযুক্ত হীরা বাউরি।

শিল্পক্ষেত্রে শাসকদলের ‘দাদাগিরি’র অভিযোগের তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।

Advertisement

এ বার দুর্গাপুরে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ওয়েবেলের অফিস। অভিযোগ উঠেছে, দাবি মতো চাঁদা না দেওয়ায় স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সেখানে ব্যাপক হামলা চালায় তাঁর এক দল অনুগামী। সংস্থার কর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে কাউন্সিলর হীরা বাউরি-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার গভীর রাতে। ওই সংস্থার কর্মীদের অভিযোগ, রাতে অফিস চত্বরে তাঁরা দীপাবলি পালন করছিলেন। সেই সময়েই স্থানীয় কাউন্সিলর হীরা বাউরির নেতৃত্বে এক দল লোক তাঁদের উপর চড়াও হয়। কর্মীদের ব্যাপক মারধরের পাশাপাশি ভাঙচুর চালানো হয় গোটা অফিসে। ভেঙে দেওয়া হয় সংস্থার বেশ কয়েকটি গাড়ি ও আসবাবপত্র। আহত অবস্থায় বেশ কয়েক জনকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে। গুরুতর আহত হন সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর। এর পর দুর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সংস্থার কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে হীরা বাউরি-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, তাঁরা প্রত্যেকেই শাসক দলের কর্মী। বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

সংস্থার কর্মীরা অভিযোগ করলেও হামলার দায় তাঁদের উপরেই চাপিয়েছেন ধৃত কাউন্সিলর। বাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করায় তাঁদের উপরেই প্রথমে ওই সংস্থার কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। সংস্থার কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, কালীপুজোর চাঁদাকে কেন্দ্র করেই ঘটনার সূত্রপাত। কাউন্সিলরের মনমতো চাঁদা না দেওয়াতেই এই হামলা।


ভেঙে দেওয়া হয়েছে সংস্থার গাড়ি।

কিছু দিন আগে জঙ্গি আন্দোলনের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এলাকার একটি কাগজ কল। শাসক দলের আন্দোলনে সমস্যায় পড়ে এলাকার অন্য একটি কারখানাও। শিল্পক্ষেত্রে এই ধরনের হামলার ঘটনায় কী বার্তা যাচ্ছে? বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের মতে, “এর ফলে বিনিয়োগকারীরা রাজ্যে আসতে ভয় পাবেন। লগ্নিকারীদের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে। নিয়ন্ত্রণহীন এবং সমাজবিরোধীদের দল হয়ে উঠেছে তৃণমূল।” সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, “সব হামলার পিছনেই শাসক দলের একাংশ মদত দিয়ে চলেছে। যা খুশি করার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে কর্মীদের। এর ফলে নতুন শিল্প তো হবেই না, যাঁরা আছেন তাঁরাও চলে যাবেন।”

ছবি: সব্যসাচী ইসলাম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন