জনতা-পুলিশ সংঘর্ষের পরে মালদহের নারায়ণপুরে জাতীয় সড়কে পুলিশি টহল। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়।
দুর্ঘটনায় এক পথচারীর মৃত্যুর প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা পথ অবরোধ করেন। পুলিশ এসে তা ওঠাতে গেলে বাধে খণ্ডযুদ্ধ। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এমনকী, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্যেও গুলি চালাতে হয়। মঙ্গলবার দুপুরে পুরনো মালদহের নারায়ণপুরের ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, নারায়ণপুরের কাছে এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ হেঁটে রাস্তা পার হচ্ছিলেন বছর পঁচিশের সাবির শেখ। আটমকাই পিছন থেকে একটি ট্রেলার তাঁকে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। এর পরে নারায়ণপুর মোড়ে ট্র্যাফিক পুলিশ মোতায়েন করার দাবিতে ওই যুবকের দেহ নিয়ে পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, দুর্ঘটনাপ্রবণ ওই এলাকায় কোনও ট্র্যাফিক পুলিশ না থাকায় প্রায়ই সেখানে দুর্ঘটনা হয়। খবর পেয়ে ঘণ্টাখানেক পরে অবরোধ তুলতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তাদের প্রথমেই বচসা বাধে। শেষে গড়ায় হাতাহাতিতে। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। হিতে বিপরীত হয়, পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, সে সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে জনতার একাংশ। অবরোধকারীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ওসি ট্র্যাফিক মানবেন্দ্র সাহা এবং তিন জন পুলিশকর্মী। অভিযোগ, পরে শূন্যে তিন-চার রাউন্ড গুলিও চালায় পুলিশ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলার পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। অরবোধকারীদের পাল্টা অভিযোগ, পুলিশের লাঠির ঘায়ে আহত হয়েছেন এক অবরোধকারী।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এর পর বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক মোদী। বিক্ষোভকারীদের দাবি বিবেচনা করা হবে, এই আশ্বাসে অবশেষে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ অবরোধ উঠে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, আহত মানবেন্দ্রবাবু ও এক জন অবরোধকারীকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।