নীতীশ কুমারকে বিধানসভার নেতা হিসেবে স্পিকার যে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন তার উপর স্থগিতাদেশ দিল পটনা হাইকোর্ট। সাত দিনের জন্য স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ফের শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে জানানো হয়েছে। জিতনরাম মাঁজির সমর্থক এক বিধায়কের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এল নরসিমা রেড্ডি এবং বিচারপতি বিকাশ জৈনের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এই রায় দিয়েছে।
গত শনিবার জেডিইউ বিধায়কদের একাংশের বৈঠকে নীতীশ কুমারকে বিধানসভার নেতা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ওই দিন বিকেলে নীতীশকে বিধায়ক দলের নেতার স্বীকৃতি দিয়ে স্পিকার উদয়নারায়ণ চৌধুরীর সচিবালয় বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সোমবার তার বিরুদ্ধে রোহতাসের কারাকাটের বিধায়ক রাজেশ্বর রাজ হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন।
আদালত এ দিন রায়ে জানিয়েছে, স্পিকার নীতীশকে যে স্বীকৃতি দিয়েছেন তার কোনও আইনি বৈধতা নেই। ওই বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে কোনও আইনি কাজ করা যাবে না। রাজ্যপাল বা আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না মিললে এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। এই রায়ের জেরে বিহারের রাজনৈতিক নাটকের মূল কারিগর হয়ে গেলেন রাজ্যপালই। হাইকোর্ট জানিয়েছে, ওই বিজ্ঞপ্তি জারির এক্তিয়ার স্পিকারের নেই। কী ভাবে তিনি তা করলেন আদালত তা খতিয়ে দেখবে। কারণ ওই সময় জিতনরাম মাঁঝি বিধানসভার নেতার পদেই ছিলেন। সে ক্ষেত্রে একই পদে আরও এক জনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষমতা স্পিকারের আছে কি না, তা দেখবে আদালত।
বিহার বিধানসভার স্পিকার উদয়নারায়ণ চৌধুরী বলেছেন, “আদালত কী রায় দিয়েছে তা জানি না। আমি বিধানসভার আইন মেনেই ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।” প্রশাসনিক সূত্রে খবর, স্পিকারের দফতর থেকে ওই বিজ্ঞপ্তি রাজভবন, মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় এবং নীতীশ কুমারের কাছে পাঠানো হয়।
জনস্বার্থ মামলার আবেদনকাকীর আইনজীবী এস বি কে মঙ্গলম বলেন, “স্পিকারের বিজ্ঞপ্তির আইনি বৈধতা নেই বলে জানিয়েছে আদালত। সাত দিন পরে ফের শুনানি হবে।” বিধায়ক রাজেশ্বর রাজ বলেন, “জিতনরাম মাঁজিকে যে ভাবে সরানো হয়েছে, তা সঠিক নয়। জিতনরাম এখনও মুখ্যমন্ত্রী। তিনি থাকতে আরও এক জন কী ভাবে বিধায়ক দলের নেতা হতে পারেন?” তিনি জানান, আদালতের রায়ে স্পষ্ট হয়েছে যে, নীতীশ কুমারকে অবৈধ ভাবে বিধায়ক দলের নেতা নির্বাচিত করা হয়। এর পর রাজ্যপালের সিদ্ধান্তই তাঁরা মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন ওই বিধায়ক।