পুজো দিতে পশুপতিনাথ মন্দিরে মোদী। ছবি: এএফপি।
কাশী বিশ্বনাথ থেকে নেপালের পশুপতিনাথ। তা সে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় হোক বা প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপালের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্কের বাঁধন— আশীর্বাদ নিতে ছুটে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। প্রথম ঘটনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে এবং দ্বিতীয়টি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর। দু’টি ঘটনার প্রেক্ষিত অবশ্যই আলাদা কিন্তু বিশ্বনাথ-ভক্ত মোদী যেন উভয় ক্ষেত্রেই মিলেমিশে একাকার।
পরিচিত ‘মোদী ব্র্যান্ড’ পোশাক নয়, গেরুয়া কুর্তা-পাজামা, কাঁধে শাল— সোমবার সকালে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে নরেন্দ্র মোদী হাজির হলেন পশুপতিনাথ মন্দিরে। পুজো দিয়ে আশীর্বাদও নিলেন। সময় কাটালেন প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট। মন্দিরে দান করলেন ২৫০০ কেজি চন্দন কাঠ। মন্দিরের সামনে একটি ধর্মশালা তৈরির জন্য ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা ঘোষণাও করলেন মোদী। ‘এলাম, দেখলাম এবং জয় করলাম’ ভঙ্গি ধরা পড়ল তাঁর এ দিনের পশুপতিনাথ দর্শনে! রবিবারে একই ভঙ্গিমায় তাঁকে দেখা গিয়েছিল নেপালের পার্লামেন্টে ভাষণ দেওয়ার সময়ে। নেপালের প্রেসিডেন্টও তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে মুগ্ধ হয়ে এ দিন মোদীকে বলেন, “গতকাল পার্লামেন্টে আপনার বক্তৃতা আমাদের হৃদয় জয় করে নিয়েছে।” নেপালবাসীর মন জয় করতে মোদী সেই চেষ্টাই করে গিয়েছেন বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সার্কগোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে সচেষ্ট হয়েছিলেন মোদী। প্রথমে ভুটান, তার পরে নেপাল সফর। সর্বত্রই সাবলীল ভঙ্গিতে দেখা গিয়েছে মোদীকে।