নৌ-বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হল আইএনএস কলকাতা

ভারতীয় সেনাবাহিনীর শক্তিবৃদ্ধি করে দেশের বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতাকে নৌ-বাহিনীর হাতে তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে নৌ-বাহিনীর হাতে এই নতুন শক্তি তুলে দিয়ে তিনি বলেন, “নৌ-বাহিনীর শক্তিবৃদ্ধিতে এ এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বিশ্ববাণিজ্যের উন্নতির জন্য সামুদ্রিক শক্তিবৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশ শক্তিশালী হলে কেউ চোখ রাঙাতে পারবে না। আইএনএস কলকাতা নিঃসন্দেহে দেশের শক্তিবৃদ্ধি করবে।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০১৪ ১২:১৭
Share:

নৌ-বাহিনীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: এএফপি।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর শক্তিবৃদ্ধি করে দেশের বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতাকে নৌ-বাহিনীর হাতে তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে নৌ-বাহিনীর হাতে এই নতুন শক্তি তুলে দিয়ে তিনি বলেন, “নৌ বাহিনীর শক্তিবৃদ্ধিতে এ এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বিশ্ববাণিজ্যের উন্নতির জন্য সামুদ্রিক শক্তিবৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশ শক্তিশালী হলে কেউ চোখ রাঙাতে পারবে না। আইএনএস কলকাতা নিঃসন্দেহে দেশের শক্তিবৃদ্ধি করবে।”

Advertisement

সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই যুদ্ধজাহাজের নির্মাণ শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০০৩ সালে। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে লাল ফিতের ফাঁসে আটকে যুদ্ধজাহাজটি তৈরি শুরু হয় ২০০৬ সালে। প্রথম থেকেই নির্ধারিত সময় থেকে বেশ কয়েক বছর পিছিয়ে ছিল এই প্রকল্প। দেশীয় প্রযুক্তিতে মাজাগন বন্দরে আইএনএস কলকাতা-সহ আরও দু’টি যুদ্ধজাহাজ তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় তত্কালিন কেন্দ্রীয় সরকার। ১১ হাজার ৬৬২ কোটির এই প্রকল্প শেষ হলে পরবর্তী কালে আরও চারটি অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ তৈরির পরিকল্পনা ছিল। এর মধ্যে বৃহত্তম প্রকল্পটি ৪০ হাজার টনের বিশালাকায় যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্ত তৈরির কাজ চলছে কোচি বন্দরে। নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরই এই প্রকল্পটি শেষ করার জন্য ১৯ হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করে কেন্দ্র। টাকার অভাবে এই যুদ্ধজাহাজের নির্মাণও অত্যন্ত ঢিলে গতিতে চলছিল। আইএনএস কলকাতা এখনও পর্যন্ত দেশীয় প্রযুক্তিতে বানানো বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ। ৬ হাজার ৮০০ টনের এই যুদ্ধজাহাজ ১৬টি ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন