প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কের মধ্যে অবশেষে মুখ খুললেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। কংগ্রেস নেতা নটবর সিংহের দাবি খারিজ করে সনিয়ার দাবি, তাঁর আত্মজীবনী থেকেই জানা যাবে প্রকৃত সত্য।
‘ওয়ান লাইফ ইজ নট এনাফ’ নামে আত্মজীবনী লিখছেন নটবর। এক সপ্তাহ পর তা প্রকাশ হওয়ার কথা। তার আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন অন্তরাত্মার ডাকে নয়, ২০০৩ সালে পুত্র রাহুলের জেদের জন্যই প্রধানমন্ত্রী হননি সনিয়া। নটবর আরও দাবি করেন, সনিয়া প্রধানমন্ত্রী হলে রাজীব গাঁধীর মতো তাঁকেও মেরে ফেলা হবে বলে ভয় পেয়েছিলেন রাহুল। ফলে সে বার পুত্রের জেদের কাছে হেরে প্রধানমন্ত্রী হওয়া হয়নি সনিয়ার। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা সঞ্জয় বাড়ুর দাবিকে সিলমোহর দিয়ে কংগ্রেসের এই বর্ষীয়ান নেতা দাবি করেন গুরুত্বপূর্ণ সব ফাইলই দশ জনপথের ‘অনুমোদন’-এর অপেক্ষায় থাকত। তাঁর বই থেকে বিতর্কিত সব অংশ বাদ দিতে সনিয়া ও প্রিয়ঙ্কা অনুরোধ করেন বলেও জানান তিনি।
প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীর এই দাবির পরই সমালোচনার ঝড় তোলে বিজেপি। সনিয়াকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা শাহনওয়াজ হুসেন বলেন, ‘‘সেনাপতি নিজেই মৃত্যুভয় পেলে বাকি বাহিনীর কী হবে?” বুধবার এই বিতর্কে না ঢুকলেও এ দিন নটবরের মন্তব্যের জন্য তাঁকে একহাত নিলেন সনিয়া-সহ কংগ্রেস নেতৃত্ব। সনিয়ার কথায়, “যে নিজের স্বামী ও শাশুড়িকে খুন হতে দেখেছে তার মৃত্যুভয় নিয়ে এমন মন্তব্য করা অযৌক্তিক। শীঘ্রই আমি একটি বই লিখছি। প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে সেখান থেকেই।” সনিয়ার সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহও। নটবরের বক্তব্যকে অসত্য বলে তাঁরও দাবি, সনিয়ার বই থেকেই জানা যাবে প্রকৃত তথ্য। নটবরের প্রতি তাঁর উপদেশ, “কিছু ব্যক্তিগত কথা ব্যক্তিগত স্তরেই রাখা উচিত।”