ফের আক্রান্ত কমিশনের কর্মীরা, এ বার মালদহে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৪ ১৪:৩২
Share:

মানিকচক বিডিও অফিসে নির্বাচন কমিশনের কর্মীরা। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়।

হাওড়া ও হাবরা কাণ্ডের পর এবার মালদহের মানিকচকে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের মারধরের অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ মালদহের গাজিপুরের খয়েরতলাতে। কমিশন সূত্রে খবর, এ দিন দক্ষিণ মালদহের তৃণমূল প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে বাইক মিছিল করছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। বিধিভঙ্গের অভিযোগে মিছিল আটকান কমিশনের কর্মীরা। আক্রান্ত হন আধিকারিক অজিত দাস-সহ আরও দু’জন কর্মী। আহতদের মানিকচক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল।
এ দিন সকালে প্রায় ২০০টি মোটরবাইক নিয়ে মানিকচক থেকে মিছিল শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। কমিশন সূত্রে খবর, মিছিলের মধ্যে একটি হুড খোলা জিপে ছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন। গাজিপুরের কাছে বাইকবাহিনীকে বাধা দেন আধিকারিক অজিত দাস-সহ কমিশনের আরও কয়েক জন কর্মী। সেখানেই কমিশন কর্মীদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান শাসকদলের কর্মীরা। প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেনের সামনেই আধিকারিক অজিত দাসকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশবাহিনী। এই ঘটনায় রাজ্যের সমাজকল্যাণমন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের জামাই টিঙ্কু ওরফে সন্দীপ সরকার, তৃণমূল ব্লক যুব কংগ্রেস সভাপতি মুকুলেশ্বর রহমান, তৃণমূল নেতা মতিউর রহমান ও জামাল খান-সহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মানিকচক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ দিন বিকেল পর্যন্ত পুলিশ ৬টি বাইক বাজেয়াপ্ত করেছে বলে খবর।
অন্য দিকে এ দিন ঘটনাস্থলে থাকার কথা অস্বীকার করেছেন প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগও কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, ‘‘আমাদের কোনও বাইকবাহিনী ছিল না। কমিশনের কর্মীরা কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছেন। আমরা এই বিষয়টি কমিশনকে জানাব।’’ তিনি এই ঘটনার জন্য নির্বাচন কমিশনকেই দায়ি করে এ দিন বলেন,‘‘প্রশাসন বাধা দেওয়ায় আমরা কোনও মিছিল করিনি। আমাদের কর্মীরা এ দিন প্রচারে বের হওয়া মাত্রই কমিশনের আধিকারিকেরা তাদের বাধা দেন। বাধা দেওয়ায় কর্মীরা শুধুমাত্র প্রতিবাদ করেছিলেন, মারধরের কোনও ঘটনাই ঘটেনি।’’

Advertisement

জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী বলেন, ‘‘থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে. বিডিওর থেকে রিপোর্ট নেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট মুখ্য নির্বাচন আধিকারিককে পাঠানো হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন