এ যেন মৃত্যুর মিছিল। তড়িদাহত হয়ে একের পর এক হাতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে উত্তরবঙ্গে। মঙ্গলবারও দু’টি হাতির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বন দফতরের আধিকারিক পপ শেরিং ভুটিয়া বলেন, “বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে হাতি দু’টি মারা গিয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।”
হস্তিযূথের হানা থেকে ফসল বাঁচাতে জমিতে বিছিয়ে রাখা ছিল বিদ্যুৎবাহী তার। আর তাতেই পা জড়িয়ে মারা গেল দু’টি পূর্ণবয়স্ক হাতি। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে বানারহাট থানার কলাবাড়ি চা-বাগান এলাকা থেকে একটি দাঁতালের দেহ উদ্ধার হয়। অন্য দিকে, পানঝোরা বনবস্তি এলাকার ধান খেত থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী হাতির দেহ পাওয়া গিয়েছে। ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে, তড়িদাহত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই দু’টি হাতির।
ফসল ওঠার মরসুমে হাতির দল খাবারের সন্ধানে জঙ্গল থেকে হানা দেয় গ্রামে। হাতির সেই হামলা থেকে রক্ষা পেতে বেআইনি ভাবে বিদ্যুতের তার দিয়ে জমি ঘিরে রাখেন গ্রামবাসীদের অনেকেই। এর ফলে খাবারের লোভে হাতি মাঠে নামলেই বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়। একটি সংগঠনের হিসেব অনুযায়ী গত তিন বছরে উত্তরবঙ্গের চার জেলায় এ ভাবেই তড়িদাহত হয়ে মারা গিয়েছে ১৯টি হাতি।