স্কুল চত্বরের মধ্যে ফের ছাত্রীর উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল বেঙ্গালুরুতে। এ বার নির্যাতনের শিকার তিন বছরের এক শিশু। গত চার মাসে এই নিয়ে তিন বার এমন ঘটনা ঘটায় স্কুলে মেয়েদের নিরাপত্তা ফের প্রশ্নের মুখে পড়ল।
নিগৃহীতা শিশুটির পরিবারের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে। বুধবার সকালে পুলিশ কমিশনার এম এন রেড্ডি ওই স্কুলে গিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। এর পরই এসিপি সারাহ ফতিমাকে ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে স্কুলের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পাশাপাশি সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হবে বলে তদন্তকারী এক অফিসার জানিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, বছর তিনেকের ওই শিশুটি বেঙ্গালুরুর জালাহাল্লি এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলে নার্সারি বিভাগের ছাত্রী। মঙ্গলবার সকালে তাকে স্কুলে পৌঁছে দিয়েছিলেন তার মা। পরিবারের দাবি, তখন সে স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু স্কুল ছুটির পর তাকে আনতে গিয়ে মেয়েকে কাঁদতে দেখেন মা। তার ব্যবহারেও কিছু অসঙ্গতি নজরে আসে। বাড়ি ফিরে ওই শিশুটি স্কুলে তার সঙ্গে কী হয়েছে সে কথা মাকে বলে। ঘটনায় এতটা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সে যে রাতের দিকে তার জ্বরও আসে বলে শিশুটির বাবা জানান। তবে কে বা কারা তার উপর নির্যাতন চালিয়েছে, শিশুটি সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারেনি। এর পরে, রাতেই থানায় অভিযোগ করেন তিনি। বেঙ্গালুরুর যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) হেমন্ত নিম্বলকর এ দিন জানিয়েছেন, শিশুটির বাবার করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পকসো (প্রোটেকসন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্স্যুয়াল অফেন্স) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে। তদন্তও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ কর্তা।
কিছু দিন আগে বেঙ্গালুরুরই একটি স্কুলের ভেতর আট বছরের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তেষট্টি বছরের শিক্ষক। চলতি বছরের জুলাই মাসে শহরেরই এক স্কুলে গণধর্ষণের শিকার হয় ছ’বছরের এক ছাত্রী। শাস্তি দেওয়ার নাম করে ছ’বছরের ওই শিশুকে স্কুলের স্টোর রুমে বন্দি করে তাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল স্কুলেরই দুই জিমনাস্টিক প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে শহরের পথে নেমেছিলেন প্রচুর মানুষ।