বেনিয়াবাগের সভা থেকে মঙ্গলবারই ‘জনসমর্থন’ পেয়ে বারাণসী থেকে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর ‘চ্যালেঞ্জ’ নিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। তারই অঙ্গ হিসেবে বুধবার বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রে বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় পথসভা করেন তিনি।
বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৫টি বিধানসভাকেন্দ্রের মধ্যে বারাণসী উত্তর, দক্ষিণ এবং ক্যান্টনমেন্ট কেন্দ্র ৩টি শহর ও শহরতলিকেন্দ্রিক। বাকি দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র অর্থাৎ রোহানিয়া এবং সেবাপুরী মূলত গ্রামীণ এলাকা অধ্যুষিত। এ দিন তিনি সিগরা স্টেডিয়ামে আপ সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে।
দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষদের এই নির্বাচনে হারানোর ডাক দিয়ে ওই দিনের জনসমর্থন র্যালিতে কেজরীবাল বলেছিলেন, “নির্বাচনে লড়ার মতো টাকা আমার কাছে নেই। মদনমোহন মালব্য এই বারাণসীতে আপনাদের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছিলেন। আমিও সেই পথে চলতে চাই।” মোদীকে শিল্প সংস্থাগুলির ‘দালাল’ বলে গুজরাতের উন্নয়নকেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।
মোদীর জীবনের প্রথম লোকসভা নির্বাচনে যদিও কোনও ঝুঁকি নেয়নি বিজেপি। বারাণসীর পাশাপাশি তাঁকে বদোদরা থেকেও প্রার্থী করা হয়েছে। সেখানে মোদীর বিরুদ্ধে মধুসূদন মিস্ত্রির নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। তাঁর নাম প্রকাশ্যে আসার পর মধুসূদন বলেন, “এই দিনটার জন্য বহু বছর ধরে অপেক্ষায় ছিলাম। বদোদরা থেকে মোদীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তাঁকে হারাবোই। আমি কংগ্রেসের জয় সম্পর্কে নিশ্চিত।”
কাজেই বদোদরা হোক বা বারাণসী, মোদীকে ‘চ্যালেঞ্জ’ জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিরোধীরা।