অগ্নিদগ্ধ তরুণীর পরিজনের সঙ্গে কথা বলছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। ছবি: শান্তনু ঘোষ।
টাকার অভাবে মেয়ের চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কাছে এমনই আর্তি জানালেন বেলুড়ের অগ্নিদগ্ধ তরুণীর মা। বুধবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই তরুণীকে দেখতে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি তরুণীর পরিবারের প্রতি সরকারি অসহযোগিতার অভিযোগও তুলেছেন।
বিকেলে বালি-হাওড়া জেলা সিপিএম নেতৃত্বের সঙ্গে যান সূর্যকান্তবাবু। মেডিক্যালে বার্ন ইউনিট না থাকায় তরুণীকে স্ত্রী-শল্য চিকিৎসা বিভাগে রাখা হয়েছে। সূর্যকান্তবাবু বলেন, “ঘটনার পরে এত ঘণ্টা কেটে গেলেও সরকারের তরফে কেউ দেখতে পর্যন্ত আসেননি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীও আসেননি। দুর্ভাগ্য, মনে হচ্ছে আমিই এখনও স্বাস্থ্যমন্ত্রী রয়েছি। তাই দেখতে এসেছি।” তাঁর অভিযোগ, “যে ওষুধ হাসপাতাল থেকে পাওয়ার কথা তা-ও তরুণীর পরিবারকে কিনতে হচ্ছে। সরকারকে বলব চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিতে হবে।”
হাসপাতাল সূত্রের খবর, তরুণীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। বেশ কয়েকটি অস্ত্রোপচারের দরকার। অবস্থা স্থিতিশীল হলে তবেই তা করা সম্ভব। পোড়া অংশ তাড়াতাড়ি শুকোনোর জন্য প্রয়োজনীয় দামি ওষুধ হাসপাতালে নেই। ফলে তা কিনে দিতে হচ্ছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
এই ঘটনায় রাজ্যে মেয়েদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টা ফের প্রকাশ পেল কি? সূর্যকান্তবাবু বলেন, “এ বিষয়ে দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গ প্রতি দিন প্রতিযোগিতা করছে। কে কার থেকে এগিয়ে থাকবে। আমি এখানে রাজনীতি করতে আসিনি। মেয়েটির অবস্থা জানতে ও পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এসেছি।” এ দিন তরুণীর মা বলেন, “মঙ্গলবার ভর্তির পর থেকে এখনও পর্যন্ত আড়াই হাজার টাকার ওষুধ কিনেছি। লোকের বাড়িতে কাজ করি। কোথায় পাব এত টাকা!”
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত যুবক মোবাইল বন্ধ করে দেওয়ায় কললিস্ট, টাওয়ার লোকেশন থেকে কোনও সূত্র পাওয়া যাচ্ছে না। তার ছবি আশপাশের সমস্ত থানায় পাঠানো হয়েছে। যুবকের কয়েক জন সঙ্গীর খোঁজ মিলেছে। তাঁদের জেরা করেও সূত্র পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।