বিহারে বিপর্যস্ত জেডিইউ, দায় নিয়ে ইস্তফা নীতীশের

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৪ ১৮:৩৬
Share:

২০ থেকে একেবারে ২!

Advertisement

আসন সংখ্যার এই অভিমুখই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করল নীতীশ কুমারকে।

২০০৯-এর লোকসভা নির্বাচনে নীতীশের সংযুক্ত জনতা দল (জেডিইউ) পেয়েছিল ২০টি আসন। সে বার বিজেপি-র সঙ্গে জোট ছিল নীতীশের দলের। পরে মোদী-বিরোধিতায় নেমে জোট ভেঙে দেন নীতীশ। এ বার কিন্তু সেই মোদী-ঝড়ের সামনে সেই সংখ্যা নেমে দুইয়ে দাঁড়িয়েছে। দলের এ হেন ভরাডুবির দায় নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন নীতীশ। শনিবার বিকেল সওয়া ৩টে নাগাদ তাঁর ও তাঁর মন্ত্রীসভার ইস্তফাপত্র বিহারের রাজ্যপাল ডি ওয়াই পাটিলের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়: “মূলত আমার নেতৃত্বেই এ বারের নির্বাচন লড়েছিল দল। তাই রাজ্যে খারাপ ফলের নৈতিক দায়িত্ব আমারই। সেই দায় থেকেই ইস্তফা।”

Advertisement

তবে, মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়ার আর্জি জানালেও বিধানসভা ভাঙার কোনও আবেদন জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন নীতীশ। রবিবার জেডিইউ বিধায়কদের বৈঠক। নীতীশের দাবি, সেখানেই বিধায়কেরা সিদ্ধান্ত নেবেন পরবর্তী সরকার কী ভাবে গঠিত হবে। তবে কি রাজ্যে ফের নির্বাচন? নীতীশের স্পষ্ট জবাব: “আমি মন্ত্রিসভা ভাঙার সুপারিশ করেছি, বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার নয়।”

এ বারের নির্বাচন তাঁকে অনেক কিছু শিখিয়েছে বলে এ দিন দাবি করেন নীতীশ কুমার। তাঁর কথায়, “এ বারের নির্বাচনী প্রচারে নীতির কথা কম ছিল। ব্যক্তিগত আক্রমণই ছিল বেশি। আমার এত দিনকার রাজনৈতিক জীবনে এমন প্রচার দেখিনি। সাম্প্রদায়িক ভাবে ভোটের এমন মেরুকরণও দেখিনি।” দেশের পক্ষে এই পরিস্থিতি যে মোটেও ভাল নয় সে কথাও উঠে এসেছে নীতীশের কথায়। তবে জনাদেশে তাঁর অগাধ আস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “জনাদেশকে সম্মান জানাই। মানুষের রায়ে ভারতীয় জনতা পার্টি দেশ চালাবে। আমার শুভ কামনা রইল।”

মোদী হাওয়ায় গোটা দেশে ইউপিএ-র শরিক দলগুলির ফল খুবই খারাপ। ইউপিএ ছেড়ে একক ভাবে নির্বাচনে লড়ে তৃণমূল অবশ্য পশ্চিমবঙ্গে আশাতীত ফল করেছে। কিন্তু বিহার হতাশ করেছে নীতীশকে। জেডিইউ যদিও দীর্ঘ ১৭ বছর এনডিএ জোটে ছিল। গত বছরের জুনে বিজেপি-র সম্মেলনে পানজিমে মোদীকে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার কমিটির প্রধান করার পর সেই জোট ভেঙে বেরিয়ে আসেন নীতীশ। শত অনুরোধেও জট কাটিয়ে তাঁকে জোটে ফেরাতে পারেননি বিজেপি নেতৃত্ব। নির্বাচনে এমন ফল হবে আগে থেকে বুঝতে পারলে তিনি কি বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ করতেন? নীতীশ বলেন, “সঙ্গ ত্যাগের ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল নীতির উপর নির্ভর করে, পরিণাম ভেবে নয়। নীতিগত কারণে নেওয়া ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কোনও আফশোস নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন