বন্ধ হয়ে গেল টিটাগড়ের কেনিসন জুটমিল

বন্ধ হয়ে গেল রাজ্যের আরও একটি চটকল। বুধবার সকালে টিটাগড়ের কেনিসন জুটমিলের গেটে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস। উৎপাদন কম হওয়ায় সাময়িক ভাবে চটকলটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মিল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। এর প্রতিবাদে এ দিন সকাল থেকে বিটি রোড অবরোধ করেন ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। মিনিট পনেরো পর পুলিশি হস্তক্ষেপে সে অবরোধ উঠে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৪ ১৩:১৬
Share:

বন্ধ হয়ে গেল রাজ্যের আরও একটি চটকল। বুধবার সকালে টিটাগড়ের কেনিসন জুটমিলের গেটে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস। উৎপাদন কম হওয়ায় সাময়িক ভাবে চটকলটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মিল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। এর প্রতিবাদে এ দিন সকাল থেকে বিটি রোড অবরোধ করেন ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। মিনিট পনেরো পর পুলিশি হস্তক্ষেপে সে অবরোধ উঠে যায়।

Advertisement

কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন ন্যাশনাল জুট ম্যানুফ্যাকচারার্স কর্পোরেশনের আওতায় থাকা কেনিসন জুটমিলটি প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো। স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ৯০০ জন শ্রমিক এই চটকলে কাজ করতেন। এর আগে মন্দার কারণে ২০০৭ সালে এই মিলটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে ২০১১ সালে চুক্তিভিত্তিক বেসরকারি মালিকানায় ফের তা চালু হয়। তবে তাতে খুব একটা সুরাহা হয়নি বলে শ্রমিকদের অভিযোগ। চালু হওয়ার পর থেকেই মিলটি ধুঁকছিল বলে তাঁদের দাবি। মূলত খাদ্যশস্য, যেমন চাল-গম ইত্যাদি বহনের জন্য বস্তা তৈরি হতো এখানে। কেনিসন চটকলের সিইও জয়প্রকাশ রায় বলেন, “প্রতি টনে প্রায় ৮ হাজার টাকা করে লোকসান হচ্ছিল। তার পরেও মিলটি চালানোর সদর্থক ভাবনা আমাদের আছে। সাময়িক ভাবে বন্ধ করলেও খুব শীঘ্রই মিলটি নতুন ভাবে যাতে চালু করা যায় তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

সিইও শীঘ্রই চটকল খোলার কথা বললেও শ্রমিকেরা কিন্তু সে আশ্বাসে ভরসা রাখতে পারছেন না। তাঁদের একাংশের মত, ২০১১ সালের মতো নতুন করে হয়তো চুক্তিভিত্তিতে মালিকানা বদল হবে। সেটা হলেও যে চটকল শ্রমিকদের সমস্যার তেমন কোনও সুরাহা হবে না সে কথা মানছেন অনেকেই। উৎপাদিত পণ্যকে বাজারজাত করতে না পারলে চটকল সমস্যা সেই তিমিরেই পড়ে থাকবে বলে শ্রমিকদের একাংশের মত। যদিও রাষ্ট্রীয় চটকল মজদুর ইউনিয়নের সম্পাদক জগদীশ সাউ বলেন, “কেনিসন মিলে ৬টি শ্রমিক সংগঠন রয়েছে। আমরা একজোট হয়ে মিলটি চালু করার বিষয়ে বদ্ধপরিকর। সিইও-র সঙ্গে ইতিমধ্যেই আমাদের কথা হয়েছে।” কর্তৃপক্ষ চটকলটি খোলার ব্যাপারে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন