বহিষ্কৃত জিতনরাম, রাজভবনে নীতীশ

মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির দৌড়ে নীতীশ কুমারের ‘পথের কাঁটা’ সরাতে জিতনরাম মাঁজিকে শেষে দল থেকে বহিষ্কারই করল জেডিইউ। আজ এমনই সিদ্ধান্ত নিলেন দলের জাতীয় সভাপতি শরদ যাদব। জেডিইউ মুখপাত্র কে সি ত্যাগী এ কথা জানিয়ে বলেন, “বিশ্বাসঘাতকদের নিয়ে লেখা ইতিহাসে সবার প্রথমে নাম থাকবে জিতনরামের।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৪:২৮
Share:

জিতনরাম মাঁঝি। —ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির দৌড়ে নীতীশ কুমারের ‘পথের কাঁটা’ সরাতে জিতনরাম মাঁজিকে শেষে দল থেকে বহিষ্কারই করল জেডিইউ। আজ এমনই সিদ্ধান্ত নিলেন দলের জাতীয় সভাপতি শরদ যাদব। জেডিইউ মুখপাত্র কে সি ত্যাগী এ কথা জানিয়ে বলেন, “বিশ্বাসঘাতকদের নিয়ে লেখা ইতিহাসে সবার প্রথমে নাম থাকবে জিতনরামের।”

Advertisement

সহজে ক্ষমতা হারাতে নারাজ ‘বিদ্রোহী’ মাঁজিও। বিধানসভায় শক্তি প্রদর্শনের জন্য রাজ্যপালের কাছে তিনি আর্জি জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন, “এক সময় তো আপনারা আমাকে নীতীশ কুমারের হাতের পুতুল বলতেন!”

এ দিন দুপুরে পটনা রাজভবনে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করে নতুন সরকার গঠনের আবেদন জানান নীতীশ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শরদ যাদব, আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ। নীতীশ দাবি করেন, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার জন্য সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে রাজভবনে হাজির হয়েছেন জেডিইউ ও বন্ধু দলগুলির ১৩০ জন বিধায়ক। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দিতে রাজ্যপালকে অনুরোধ জানানো হয়।

Advertisement

রাজভবন থেকে বেরনোর পর নীতীশ বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর জিতনরাম বিহার মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের কথা বলেছেন। এতেই বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি শীর্ষ নেতাদের কাছ থেকে তিনি ঘোড়া কেনাবেচার লাইসেন্স নিয়ে এসেছেন।” বিহারের রাজনৈতিক অচলাবস্থার জন্য বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছে কংগ্রেসও। দলের নেতা পি সি চাকো বলেছেন, “জিতনরামের দিল্লি যাত্রা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বোঝা যাচ্ছে এটা বিজেপিরই গেমপ্ল্যান।”

জিতনরামকে সমর্থনের প্রশ্নে মুখ না খুললেও বিজেপি মুখপাত্র শাহনওয়াজ হুসেন বলেছেন, “বিধানসভায় শক্তি প্রদর্শনের আগে ওঁকে (জিতনরাম) যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী লাগছে। উল্টোদিকে নীতীশ শিবিরের ছবিটা চূড়ান্ত হতাশাজনক।”

এ দিন সকালেই নয়াদিল্লি থেকে পটনা ফেরেন জিতনরাম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য নরেন্দ্র সিংহ। বিমানবন্দরে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন মন্ত্রী বিনয় বিহারী, জেডিইউ বিধায়ক রাজু সিংহ, সুমিত সিংহরা। সেখানে হাজির ছিলেন লালু প্রসাদের শ্যালক সাধু যাদবও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন