মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে আহত যাত্রীদের পরিজনেরা। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।
রাজ্যের দুই জেলায় দু’টি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দু’জনের। মালদহ ও বহরমপুর দু’জেলাতেই বরযাত্রী বোঝাই গাড়ি উল্টে গিয়ে বিপত্তি ঘটে।
বহরমপুর থানার লোকপুরের কাছে শনিবার ভোরবেলা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় একটি বরযাত্রী বোঝাই ছোট লরি। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় লরিটি বহরমপুরের নতুনবাজার এলাকা থেকে শক্তিপুর থানার রামনগরের কাছে একটি বিয়েবাড়িতে এসেছিল। এ দিন ভোরবেলা ফেরার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। লরিটিতে ৪০-৪৫ জন যাত্রী ছিলেন। ঘটনাস্থলেই মারা যান এক যাত্রী। মৃতের নাম সোমা হাজরা (১৫)। জখম হন ৩০-৩৫ জন। এঁদের মধ্যে ৮ জনকে প্রাথমিক চিকিত্সার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকিদের ভর্তি করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। চালকের গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। হাসপাতালের ডেপুটি সুপার আনন্দ মণ্ডল জানান, এ দিন সকালে আহত অবস্থায় প্রায় ৩০ জন হাসপাতালে আসেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে প্রাথমিক চিকিত্সার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ২০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৭ জন মহিলা এবং ১টি শিশুও রয়েছেন। আহতদের অভিযোগ ওই লরিটির চালক মদ্যপ ছিলেন। পুলিশও প্রাথমিক ভাবে তাই জানিয়েছে। তবে চালক ও খালাসি কাউকে এখনও পর্যন্ত ধরা যায়নি।
অন্য একটি ঘটনায় শুক্রবার রাতে মালদহে বরযাত্রী বোঝাই একটি ম্যাক্সিট্যাক্সি উল্টে মৃত্যু হয় এক নাবালিকার। মৃতের নাম ভাগ্যলিপি দাস (১১)। আহত হয় ২২ জন। পুলিশ জানিয়েছে, জনা পঁচিশেক যাত্রী নিয়ে গাড়িটি মালদহের সাকারকোলা গ্রাম থেকে চাঁচলের দইভাট্টা গ্রামের দিকে যাচ্ছিল। আশাপুরের কাছে একটি সেতুর উপর ওঠার সময় উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রেকারের সঙ্গে গাড়িটির সংঘর্ষ হয়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি পড়ে যায় পাশের নয়ানজুলিতে। স্থানীয় বাসিন্দারা এসে যাত্রীদের উদ্ধার করেন। প্রথমে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় চাঁচল মহকুমা হাসপাতালে। পরে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে আহতদের ভর্তি করা হয়।