ছবি সৌজন্যে ইসরো।
মঙ্গলের কাছাকাছি পৌঁছে গেল মঙ্গলায়ন। ৩০০ দিন ঘুমিয়ে থাকার পরে সোমবার মঙ্গলায়নের প্রধান তরল জ্বালানীবাহী ইঞ্জিনটিকে পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করে ইসরো। ৩.৯৬৮ সেকেন্ড স্থায়ী এই প্রক্রিয়া সফল ভাবে শেষ হয়েছে বলে ইসরো জানিয়েছে। এই কাজে ০.৫৬৭ কেজি জ্বালানী খরচ হয়েছে। সব ঠিকঠাক চললে ২৪ সেপ্টেম্বর, বুধবার মঙ্গলের কক্ষপথে মঙ্গলায়নের প্রবেশ করার কথা।
২০১৩-এর ৫ নভেম্বর পিএসএলভি সি-২৫ রকেটে চেপে মঙ্গের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে মঙ্গলায়ন। তার পরে পৃথিবীর চার পাশে পাক খেতে খেতে পৃথিবী থেকে ক্রমাগত দূরত্ব ও গতি বাড়াতে থাকে মঙ্গলায়ন। শেষ পর্যন্ত ৪ ডিসেম্বর পৃথিবীর আর্কষণ ছাড়িয়ে মঙ্গলের দিকে যাত্রা শুরু করে মঙ্গলায়ন।
এর পরে ৬৬ কোটি ৬০ লক্ষ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এ দিন মঙ্গলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে মঙ্গলায়ন। এর আগে চলতি বছরের ১১ জুন মঙ্গলায়নের যাত্রাপথের পরিকল্পনা মাফিক সামান্য পরিবর্তন (মিড কোর্স কারেকশন) করা হয়। এ দিন আবার পথ পরিবর্তন করা হল। এ দিন সে জন্যই ইঞ্জিনটি চালু করা হয়। এর আগে ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলায়নের শেষ পর্যায়ের যাত্রাপথের জন্য নির্দেশাবলী আপলোড করা এবং তা পরীক্ষা করা হয়।
এখন পৃথিবী থেকে মঙ্গলায়নের দূরত্ব প্রায় ২২ কোটি ৪০ লক্ষ কিলোমিটার। এই দূরত্বে সঙ্কেত পৌঁছতে প্রায় ১২ মিনিট সময় লাগে। এখন মঙ্গল থেকে যানটির দূরত্ব প্রায় ২৪ লক্ষ কিলোমিটার। মোট যাত্রা পথের প্রায় ৯৮ শতাংশ পেরিয়ে গিয়েছে মঙ্গলায়ন। এ বার মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করার অপেক্ষা। সেই সময়ে এই ইঞ্জিনটি প্রায় ২৪ মিনিট ২৩ সেকেন্ড চালু রাখতে হবে। এ দিন ইঞ্জিনটি ঠিকঠাক চলায় ইসরোর প্রযুক্তিবিদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। প্রযুক্তিবিদরা এখন মঙ্গলায়নের স্বাস্থ্যপরীক্ষার কাজ করছেন। বেঙ্গালুরু ছাড়াও আমেরিকার গোল্ডস্টোন, স্পেনের মাদ্রিদ এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা থেকে মঙ্গলায়নের দিকে নজর রাখা হচ্ছে।