মদ খাইয়ে বেহুঁশ করে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ভবানীপুরের বাসিন্দা ওই মহিলা অভিযোগ দায়ের করে জানান, সন্দীপ দাস ওরফে সঞ্জীব নামে তাঁর পরিচিত এক যুবকই এই কাজ করেছেন। সোমবার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে মহিলার শারীরিক পরীক্ষা হয়। সন্দীপকে সোমবার তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার কথায় বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ) মুরলিধর শর্মা জানান, পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, রবিবার রাত পৌনে ৮টা নাগাদ আলিপুর থানার ডিএল খান রোড এবং বেলভেডিয়ার রোডের মোড়ে বছর তিরিশের ওই মহিলাকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। টহলরত দুই পুলিশকর্মী পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার জ্ঞান ফিরলে প্রথমে চিকিত্সকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে মহিলা ধর্ষণের অভিযোগ করেননি। শুধু জানান, সন্দীপ তাঁকে মদ খাইয়ে বেহুঁশ করেছে। দুপুরে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, সন্দীপের বাড়ি বাঁশদ্রোণী এলাকায়। এলগিন রোডের ফুটপাথে তাঁর একটি ভাতের হোটেল আছে। সন্দীপ সেটি রিয়াজ নামে এক যুবককে লিজ দেন। সেখানেই বাসন মাজার কাজ করতেন অভিযোগকারিণী।