ছাত্র ভর্তির লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল রামপুরহাট কলেজ। ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় তিন ছাত্রকে ভর্তি করা হয়েছে রামপুরহাট হাসপাতালে। আহত আরও দুই ছাত্রী। ছাত্রদের মারধরের অভিযোগে কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট প্রেসিডেন্ট-সহ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে টিএমসিপি।
কী ঘটেছে এ দিন?
পুলিশ জানিয়েছে, ওই কলেজে শুক্রবার থেকেই ছাত্র ভর্তি চলছে। ফর্ম তোলার লম্বা লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে ওই দিন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোবারক শেখের সঙ্গে বচসা শুরু হয় কলেজেরই অন্য ছাত্রদের। সেই বচসা হাতাহাতিতে গড়ায় বলেই জানান মোবারক। পুলিশ জানায়, এ দিন পরিবারের লোকেদের নিয়ে অধ্যক্ষের ঘরে এই বিষয়ে অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন মোবারক। সেই সময় কলেজের টিএমসিপির কিছু ছাত্র তাঁদের উপর চড়াও হয়। লাঠি-রড নিয়ে মোবারক ও তাঁর পরিবারের লোককে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় বাধা দিতে গেলে কলেজের অন্য ছাত্রদের মধ্যেও মারপিট শুরু হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার প্রভূত নিন্দা করে শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শিক্ষাক্ষেত্রে রক্তপাত কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। গোটা বিষয়টা পুলিশকে জানিয়েছি। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”