দেশের ১৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদী শপথ নেবেন আগামী সোমবার। সেই অনুষ্ঠানে পাক-প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ উপস্থিত থাকবেন বলে শনিবারই জানানো হয়েছে। শরিফের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল কাশ্মীরের ‘পিপলস্ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি’ (পিডিপি)। তাদের মতে, ভারত-পাক সম্পর্কে নতুন আশার সঞ্চার করতে পারে শরিফের আগমন। দলের প্রধান মেহবুবা মুফতি এক বার্তায় জানিয়েছেন, উপমহাদেশে দীর্ঘ মেয়াদি শান্তি আনতে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগী হবেন, সে বিষয়ে তাঁরা আশাবাদী। তিনি জানান, দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলাপ-আলোচনার পরিবেশ তৈরি হবে শরিফের এই সিদ্ধান্তে। তবে অতীতের মতো কোনও ভাবেই সেই পরিবেশ বিঘ্নিত করা উচিত হবে না বলে তাঁর মত।
তবে শরিফের আসার খবরে এ দিন নীরব থেকেছে এনডিএ শরিক শিবসেনা। চলতি সপ্তাহের প্রথমে শিবসেনা সভাপতি উদ্ধব ঠাকরে জানিয়েছিলেন, নতুন সরকারের পাকিস্তান সম্পর্কে ‘ইটের বদলে পাটকেল’ নীতি নেওয়া উচিত। কিন্তু এ দিন শিবসেনা মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত শরিফের আসা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
অন্য দিকে, লোকসভায় মোদীর সাফল্যের পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত ভাবে দেবগৌড়াকে আমন্ত্রণ জানান মোদী। এ দিন দেবগৌড়া জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি ভবনের ওই অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকবেন।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কংগ্রেস সভানেত্রী তথা ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধীও। লোকসভায় বিজেপি-র সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তিনি। সনিয়ার পাশাপাশি সোমবারের ওই অনুষ্ঠানে দেখা যাবে কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীকেও।