ইচ্ছাকৃত ভাবেই ঋণ পরিশোধ করেনি কিংফিশার এয়ারলাইন্স, দেশের প্রথম ঋণদানকারী সংস্থা হিসাবে ঘোষণা করল রাষ্ট্রায়ত্ত ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (ইউবিআই)। ওই বিমান সংস্থার মালিক বিজয় মাল্য এবং তিন জন ডিরেক্টর সম্বন্ধেও একই কথা বলেছে ইউবিআই। সোমবার ব্যাঙ্কের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর দীপক নারাঙ্গ বলেন, ওই তিন ডিরেক্টর হলেন রবি নেদুনগড়ি, অনিলকুমার গঙ্গোপাধ্যায় এবং সুভাষ গুপ্তে।
ইউবিআই-এর গ্রিভান্স রিড্রেসাল কমিটির (জিআরসি) তরফে এ দিন জানানো হয়েছে, এর ফলে কিংফিশার ছাড়াও ভবিষ্যতে ইউবিআই থেকে ঋণ নিতে পারবেন না বিজয় মাল্য বা ওই তিন ডিরেক্টর। দীপক নারাঙ্গ বলেন, ব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক, আরবিআই এবং সেবি-কে জানানো হয়েছে।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-র নেতৃত্বে ১৭টি ব্যাঙ্কের এক কনসর্টিয়ামের কাছে কিংফিশারের বকেয়া রয়েছে ৪০২২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩৫০ কোটি টাকা ঝণ দেয় ইউবিআই। কনসর্টিয়ামের বাইরেও আলাদা ভাবে ইউবিআই-এর কাছে ৬০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে কিংফিশার।
গত সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্টের এক ডিভিশন বেঞ্চ এই বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছিল। এ দিন জিআরসি-র বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। এ দিনের বৈঠকে কিংফিশারের ডিরেক্টরদের উপস্থিত থাকতে বললেও হাজিরা দেননি কেউই। তবে ওই বিমান সংস্থার তরফে চিঠি দিয়ে ব্যাঙ্ককে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে তারা। সেই মামলার রায়দান পর্যন্ত বিষয়টি স্থগিত রাখতে ব্যাঙ্ককে জানিয়েছে কিংফিশার।