‘সংবেদনশীল’ বাহিনীর প্রশংসায় সিপি, যাদবপুর ঘিরে ছড়াচ্ছে প্রতিবাদ

প্রতিবাদ, মিছিল, ধিক্কারে বৃহস্পতিবারও সরগরম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে মিছিল করল বাম-বিজেপি-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন। ছাত্রছাত্রীদের বিশাল মিছিলে পা মেলালেন শিক্ষকদের একাংশও। আর মঙ্গলবার রাতের পুলিশি তাণ্ডবের পরও সাংবাদিক বৈঠক করে ‘ধৈর্য্যশীল’ পুলিশের পাশে দাঁড়ালেন পুলিশ কমিশনার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৭:৩১
Share:

প্রতিবাদ, মিছিল, ধিক্কারে বৃহস্পতিবারও সরগরম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে মিছিল করল বাম-বিজেপি-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন। ছাত্রছাত্রীদের বিশাল মিছিলে পা মেলালেন শিক্ষকদের একাংশও। আর মঙ্গলবার রাতের পুলিশি তাণ্ডবের পরও সাংবাদিক বৈঠক করে ‘ধৈর্য্যশীল’ পুলিশের পাশে দাঁড়ালেন পুলিশ কমিশনার।

Advertisement

মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘বিপন্ন’ উপাচার্যের ‘প্রাণ বাঁচাতে’ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢোকে। এক ছাত্রীর নিগ্রহের প্রতিবাদে ধর্না দিচ্ছিলেন বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী। রাত বাড়তে থাকে আন্দোলনকারীর সংখ্যাও। এর পরেই রাত দু’টো নাগাদ আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের বেধড়ক মেরে ‘বিপন্ন’ উপাচার্যকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়, ‘সশস্ত্র’ আন্দোলনকারীদের হঠাতে পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয় তারা। তবে মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে উপাচার্যকে একহাত নিয়েছেন সহ-উপাচার্য। ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকা নিয়ে মিটিংয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি। পুলিশের ভূমিকার নিন্দা করে তিনি বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেই বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া যেত। উপাচার্য নিজেই পুলিশ ডাকেন। আমাদের কারও সঙ্গে কোনও আলোচনাই করেননি। যাদবপুরের প্রাক্তনী হিসাবে সে দিনের ঘটনায় আমি লজ্জিত।’’

এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশকে ঢালাও সার্টিফিকেট দিলেন পুলিশ কমিশনার সুরজিত্ কর পুরকায়স্থ। ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে সশস্ত্র বহিরাগত ছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি। তাঁর আরও দাবি, সে দিন যথেষ্ট সংবেদনশীল ও ধৈর্য্যশীল ছিল পুলিশ। তবে আলোচনা করার কোনও পরিবেশ না থাকায় বাধ্য হয়ে উপাচার্য-সহ আটকে থাকা মহিলা কর্মীদের বের করে আনা হয়। যা করা হয়েছে তা আইনানুগ।

Advertisement

বুধবারের পর এ দিনও প্রতিবাদ চলছে গোটা ক্যাম্পাসে। সকালে যাদবপুরে পথ অবরোধ ও মিছিল করে ডিএসও। মিছিল করে বিজেপির মহিলা সংগঠন এবং ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা। বিকেলের দিকে মিছিল করে এসএফআই-ও। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চলছে ক্লাস বয়কট। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ দিন সিংহভাগ ছাত্র উপস্থিত ছিল। এদের মধ্যে বেশির ভাগ মিছিলে অংশ নেয়। জুটার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া ও খাতা দেখা ছাড়া অন্য কোনও প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত থাকবে তারা। যাদবপুর কাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিল হয়েছে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় এবং খড়্গপুর আইআইটিতেও।

এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না উপাচার্য। ঘটনাটি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি রেজিস্ট্রারও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন