সারদা-কাণ্ডের তদন্তে নেমে অসম পুলিশের প্রাক্তন ডিজি শঙ্কর বড়ুয়াকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। সেই ঘটনার পরে সপ্তাহ দুয়েক কাটেনি, বুধবার প্রাক্তন সেই পুলিশকর্তার দেহ তাঁর গুয়াহাটির বাড়ি থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই পুলিশকর্তা। গুয়াহাটির উজানবাজার এলাকায় এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ তাঁর বাড়ি থেকে গুলির আওয়াজ পেয়ে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখেন, ঘরে শঙ্করবাবুর দেহ পড়ে আছে। পুলিশ এসে ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর দেহ গৌহাটি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়।
গত ২৮ অগস্ট সারদা কেলেঙ্কারিতে শঙ্করবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। ওই দিন দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি প্রাক্তন ওই পুলিশকর্তাকে ব্যাঙ্কে নিয়ে গিয়ে তাঁর অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করেছিলেন গোয়েন্দারা। ভুয়ো এই অর্থলগ্নি সংস্থার কয়েক কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে নিজের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় কারণেই শঙ্করবাবু আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিশের একাংশের অভিমত।
ওই জেরার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন শঙ্করবাবু। গত চার দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। এ দিন সকালেই বাড়ি ফিরেছিলেন। ঘটনার সময় বাড়িতে তাঁর ৯০ বছরের বৃদ্ধা মা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। গুলি চালানোর খবর পেয়ে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ আসে। শঙ্করবাবুর দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয় ওই পিস্তলটি।
সম্প্রতি সারদা-কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অসমের গায়ক-ব্যবসায়ী সদানন্দ গগৈ। তদন্তের স্বার্থে পরে শঙ্করবাবুকেও গ্রেফতার করা হবে বলে গুজব ছড়ায়। পুলিশের একাংশের মত, সেই আশঙ্কাতেই আত্মহত্যা করেছেন ওই প্রাক্তন পুলিশকর্তা।