কুড়ি লিটারের পানীয় জলের জার থেকে জল ঢালতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ লেকটাউনের এস কে দেব রোডের বাসিন্দা তপন রায়ের। তাঁর দাবি, ওই জারটি খোলার আগে তিনি দেখেন, ওই পানীয় জলের জারের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে একটা টিকটিকি। সিল করা ওই পরিশ্রুত পানীয় জলে টিকটিকি দেখে রীতিমতো ভিরমি খেয়েছেন রায় পরিবার। তপনবাবুর দাবি, জারটির সিল খোলার আগেই তিনি টিকটিকি দেখতে পান। এর পর থেকে ওই জারটি যেমন ছিল সে রকম অবস্থায় তিনি রেখে দিয়েছেন। অভিযোগ জানিয়েছেন লেকটাউন থানায়। ওই পানীয় জলের জার যে সংস্থার সেই সংস্থার আধিকারিকদেরও ফোন করে জানিয়েছেন। তবে কী ভাবে ওই টিকটিকি এলো তার অবশ্য কোনও সদুত্তর মেলেনি।
ওই পানীয় জল প্রস্তুতকারী সংস্থার এক কর্ণধার সুমন সরকার বলেন, “বিষয়টি জানি। আমরা খতিয়ে দেখে জানতে পেরেছি, ওই পানীয় জলের জারের গায়ে যে তারিখের ব্যাচ নম্বর লেখা আছে ওই ব্যাচ নম্বরের সঙ্গে আমাদের সংস্থার ব্যাচ নম্বর মিলছে না। তাই আমাদের সন্দেহ, আমাদের সংস্থার নাম দিয়ে কেউ জলের জার নকল বানাচ্ছে। আমরাও পুলিশকে বিষয়টাকে খতিয়ে দেখতে বলেছি।” তদন্তে নেমে লেকটাউন থানার পুলিশ দেখেছে, ওই তিনটি পানীয় জলের জারের মধ্যে আবার দু’টি জারে কোনও ব্যাচ নম্বরই লেখা নেই। ওই জারগুলি কোথা থেকে এসেছে, কারা সরবরাহ করছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। যে দোকান থেকে তপনবাবু ওই জলের জারটি কিনেছিলেন সেই দোকানদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।