বছর ষোলোর এক পরিচারিকাকে যৌন নির্যাতন এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগে একই পরিবারের চার সদস্যকে গ্রেফতার করল হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম অশোক দাস, তনুশ্রী দাস, জয়শ্রী ঘোষ এবং দীপক ঘোষ। তাঁরা হাওড়ার অবিনাশ চ্যাটার্জি লেনের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে পেশায় চিকিত্সক অশোকবাবু অসম থেকে কুলমাহি খাদন্না নামে এক কিশোরীকে পরিচারিকার কাজের জন্য বাড়িতে নিয়ে আসেন। গত শনিবার টাকা এবং ঘড়ি চুরির অভিযোগে অশোকবাবুর স্ত্রী তনুশ্রীদেবী এবং শ্যালিকা জয়শ্রীদেবী বেধড়ক মারধর করেন কুলমাহিকে। শুধু তাই নয়, তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। ছিটিয়ে দেওয়া হয় গরম তেলও। এখানেই থেমে থাকেনি অত্যাচার। এর পরে গত রবিবার তনুশ্রীদেবীর কাকা ঘর বন্ধ করে ওই কিশোরীর উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁর উপর নিগ্রহের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, তা সহ্য করতে না পেরে গত সোমবার কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই কিশোরী। এর পরে ওই পরিবারের তরফে তাঁকে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি করার সময় ওই পরিবার জানিয়েছিল, ওই কিশোরী স্টোভ ফেটে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। কিন্তু শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখে সন্দেহ হয় চিকিত্সকেদের। হাসপাতাল থেকে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশে খবর দেওয়ার কথা শুনে ওই পরিবার কিশোরীটিকে তড়িঘড়ি হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।যদিও চিকিৎসকেরা তাঁকে ছাড়েননি। পুলিশের কাছে মেয়েটি সব কথা জানালে ওই পরিবারের চার জনকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।