হীরালাল মামলায় সরাসরি খুনের অভিযোগ দায়ের

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৪ ১৯:১১
Share:

অবশেষে চাপের মুখে নতি স্বীকার করল বীরভূম জেলা পুলিশ! সিপিএম কর্মী শেখ হীরালাল খুনের ঘটনায় রবিবার সিউড়ির বিশেষ আদালতে ৩০২ ধারায় (সরাসরি খুনের অভিযোগ) মামলা করতে চেয়ে আবেদন করল বীরভূম জেলা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, আদালতে গৃহীত হয়েছে সেই আবেদন। শনিবার ওই ঘটনায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা (৩০৪ ধারা) দায়ের করেছিল পুলিশ।

Advertisement

জেলার পুলিশ সুপার রশিদ মুনির খান শনিবার বলেছিলেন, “তদন্তে জানা গিয়েছে, হীরালালকে খুন করার মতলবে মারধর করা হয়নি। তাই ৩০৪ ধারা দেওয়া হয়েছে।” তাঁর বক্তব্য থেকে সরে এসে রবিবার সেই পুলিশ সুপারই বলেন, “পরিস্থিতি বদলেছে। তাই ওই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দু’জনের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় মামলা করতে চেয়ে এ দিন আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তা মঞ্জুর করেছে।”

এ দিন নিহত হীরালালের বাড়িতে যান সিপিএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিন বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় যে-সব সিপিএম কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তাঁদের আইনি সাহায্য দেওয়ার জন্য শ্যামলবাবুর কাছে আবেদন করেন এলাকার সিপিএম কর্মীরা।

Advertisement

সিউড়ি-বোলপুর রাস্তার একডালিয়া মোড়ে এ দিন সকালে সিউড়ির আইসি-র গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার কিছু তৃণমূল কর্মী। তাঁদের দাবি ছিল, বিস্ফোরক-কাণ্ডে মূল অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। ওই ঘটনায় যে ছ’জন সিপিএম কর্মীর নামে এফআইআর করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে তিন জনকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ। অন্যতম অভিযুক্ত শেখ হীরালালকে বিস্ফোরক উদ্ধারের পরে পরেই পিটিয়ে মারা হয়। এ দিন মূলত এফআইআরে নাম থাকা স্থানীয় সিপিএম নেতা শেখ মকিমকেই ধরার দাবি তুলেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন