গণহত্যার প্রতিবাদে গুয়াহাটিতে বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই।
অসমের বাক্সা ও কোকরাঝাড়ে জঙ্গি হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩২। শনিবার সকালে বাক্সা জেলার একটি গ্রাম থেকে গুলিবিদ্ধ আরও ন’টি দেহ উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। মৃতদের মধ্যে দু’জন মহিলা ও চার শিশু। বাক্সার খাগরাবাড়ি গ্রামের জঙ্গল থেকে দুই কিশোরকে উদ্ধার করেছে সেনা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মনমহোন সিংহ। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি অসম সরকার যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। হামলার নিন্দা করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীও।
বৃহস্পতিবার রাতে অসমের বোরল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিসট্রেটিভ ডিস্ট্রিক্টের অন্তর্গত কোকরাঝাড় ও বাক্সা জেলার কয়েকটি গ্রামে হামলা চালায় এনডিএফবি-র সংবিজিত গোষ্ঠীর এক দল জঙ্গি। জঙ্গল-পাহাড়ে ঘেরা প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে বেশ কয়েক জন গ্রামবাসীকে হত্যা করে তারা। ঘটনার পর থেকেই বাক্সা, কোকরাঝাড়, চিরাং ও ধুবুরির বেশ কিছু অংশে কার্ফু জারি করা হয়। হিংসাদীর্ণ এলাকাগুলিতে ফ্ল্যাগ মার্চ করে আধা সামরিক বাহিনী। অসম পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি এ পি রাউত জানান, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হামলায় এনডিএফবি-র জড়িত থাকার প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের কাছে অতিরিক্ত ১০ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী চেয়েছিল অসম সরকার। এর মধ্যে ছ’কোম্পানি জওয়ান ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছে। তাদের কোকরাঝাড়, বাক্সা ও উদালগিরি জোলায় মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এলাকায় নিরাপত্তার অভাবের অভিযোগে এ দিন সকালে বাক্সার বাসবাড়ি এলাকায় বন দফতরের একটি বাংলোয় হামলা চালায় এক দল লোক। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাক্সা ও কোকরাঝাড়ে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।