পারিবারিক বচসার জেরে ইঁদুর মারা বিষ খেয়ে গত শনিবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন বছর তেইশের সুরঞ্জন সরকার। কিন্তু ভর্তি হওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। তিন দিন পর মঙ্গলবার সকালে নিখোঁজ সেই রোগীকে খুঁজে পাওয়া গেল হাসপাতালেরই একটি লিফ্টের অসমাপ্ত সুড়ঙ্গ থেকে।
হাসপাতাল এবং রোগীর পরিবার সূত্রে খবর, এ দিন সকালে কর্মীরা হাসপাতাল চত্বরে ব্লিচিং পাউডার ছড়াচ্ছিলেন। সেই সময় লিফ্ট বসানোর জন্য যে দেওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে তার ওপার থেকে গোঙানির শব্দ শুনতে পান তাঁরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশ এবং দমকলে। দমকলকর্মীরা লিফ্ট বসানোর দেওয়াল ভেঙে দেখেন ভিতরে পড়ে রয়েছেন সুরঞ্জন। তাঁকে উদ্ধার করে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, ওই সুড়ঙ্গে পড়ে তাঁর পায়ের হাড় ভেঙে গিয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে দমকলকর্মীদের ধারণা, নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেলেও লিফ্ট না বসানোয় উপর থেকে নীচ পর্যন্ত ওই জায়গাটি ফাঁকাই ছিল। কোনও ভাবে সেই সুড়ঙ্গের ভেতর উপর থেকে পড়ে গিয়েছেন সুরঞ্জন। আর তাতেই বিপত্তি ঘটে।
মালদহ শহরের গির্জা মোড়ের বাসিন্দা সুরঞ্জনের বাবা অমল সরকার এ দিন বলেন, “শনিবার হাসপাতালে ভর্তি করার পর থেকে ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। হাসপাতালের সুপারকে সে কথা জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিন দিন কেটে যাওয়ায় আজকেই ভেবেছিলাম পুলিশকে জানাব! তার মধ্যেই তো ওকে পাওয়া গেল।” মেডিক্যাল কলেজের সুপার মহম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, “ওই রোগীর নিঁখোজ হওয়ার কথা ইংলিশবাজার থানায় জানিয়েছিলাম।” ইংলিশবাজার থানার আইসি বলেন, “অভিযোগ জানানো হয়েছিল কি না বিষয়টি জেনে বলব।”