Lok Sabha Election 2024

নিয়োগ-কাণ্ডে ঘাসফুলকে নিশানা অভিজিতের

বুধবার অভিজিতের ভোট প্রচার ছিল তমলুক শহরে। এ দিন তমলুক শহরের রাধাবল্লভপুর বাজার, জেলখানা মোড় এলাকায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের নিয়ে পায়ে হেঁটে তিনি জনসংযোগ করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:২৮
Share:

বুধবার রাধাবল্লভপুরে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশকে কেন্দ্র করে বাগযুদ্ধ চলে এসেছে লোকসভা ভোটের ময়দানে।

Advertisement

তমলুক লোকসভার বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি থাকাকালীন ওই মামলা তাঁর অধীনে ছিল। ওই মামলায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যে অনেক মানুষের চাকরি গিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ভোট প্রচারে সরব হয়েছেন তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী-সহ দলের অন্য নেতারা। নিজের প্রচারে বেরিয়ে এ বার তার জবাব দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তৃণমূল সরকার যোগ্য লেকেদের চাকরি থেকে বঞ্চিত করে অযোগ্যদের কাছে টাকা নিয়ে চাকরি বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন বিচারপতি।

বুধবার অভিজিতের ভোট প্রচার ছিল তমলুক শহরে। এ দিন তমলুক শহরের রাধাবল্লভপুর বাজার, জেলখানা মোড় এলাকায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের নিয়ে পায়ে হেঁটে তিনি জনসংযোগ করেন। বানপুকুরে বিপ্লবী মাতঙ্গিনী হাজরার শহিদস্থলে তাঁর মূর্তিতে ও জেলা আদালত ভবনের সামনে বিদ্যাসাগর মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর নির্দেশের সমালোচনা করেছিলেন। এ ব্যাপারে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে অভিজিৎ পাল্টা অভিযোগ করেন, ‘‘উনি (দেবাংশু ভট্টাচার্য) হয়তো এ বিষয়ে কিছু জানেন না। তাই এ রকম বলছেন। ওরা যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেননি। অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সেই চাকরিটা বেচেছেন। সেই অযোগ্যদের প্রতি এই সব লোকের দরদ বেশি। কিন্তু যে যোগ্য প্রার্থীরা রাস্তায় বসে আছেন, তাঁদের প্রতি দরদ নেই। কারণ, তাঁরা তো টাকা দেয়নি।’’ সেই সঙ্গে অভিজিতের মন্তব্য, ‘‘আমি এটা আটকেছিলাম, যখন আমি আদালতে ছিলাম। যখন ওরা মিথ্যা বলছে বলে আমার কানে এল, তখন পাল্টা বুঝিয়ে দেব যে, ওরা অযোগ্য প্রার্থীদের প্রাণপণে রক্ষা করার চেষ্টা করছে।’’

Advertisement

মঙ্গলবার নন্দকুমারে ভোট প্রচারে গিয়ে দলীয় কর্মিসভায় অভিজিৎ নাম না-করে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার দে-র বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ তুলে তাঁকে তিহার জেলে ঢোকানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বুধবার অভিজিৎ ফের দাবি করেন,’’আমি কারও নাম করে বলিনি। ওখানকার যিনি বিধায়ক তিনি শুধু দুর্নীতি নয়, সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। আমি তাঁকে হুঁশিয়ারি দিয়েছি । কারণ, সন্ত্রাসের প্রতিষেধক আমাদের জানা আছে। দ্বিতীয়ত তিনি যে সব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তার অনেকগুলোর খবর ইতিমধ্যে এসে গিয়েছে। এই দুর্নীতির জন্য তাঁকে শাস্তি পেতেই হবে।’’

প্রচারে বেরিয়ে তিনি যে ভাবে মত প্রকাশ করছেন তাতে তৃণমূল ও সিপিএম নেতৃত্ব তাঁর বিরুদ্ধে ‘ঔদ্ধত্য’র অভিযোগ তুলছে। অভিজিৎ অবশ্য তা খণ্ডন করে বলেন,’’কখনই না । আসলে ওরা আমার বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারছেন না। তাই এ সব বলছে। ঔদ্ধত্য প্রকাশ করার জায়গা কোথায় এখানে?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন