Suvendu Adhikari

ক্ষমতা থাকলে বেঁধে রাখো, চ্যালেঞ্জ জানালেন শুভেন্দু

শুভেন্দুর দাবি, তিনি নির্বাচনী প্রচারে আসেননি। কয়েক দিন আগে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সুব্রত দাস সহ বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলার প্রতিবাদে সভা করতে এসেছেন।

Advertisement

প্রসেনজিৎ সাহা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:০১
Share:

ক্যানিংয়ের পদযাত্রায় শুভেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।

বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলা, মারধরের প্রতিবাদে ক্যানিংয়ে পদযাত্রা ও সভা করলেন বিজেপি নেতা তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন বিকেল ৪টে নাগাদ ক্যানিংয়ে আসেন শুভেন্দু। হাসপাতাল মোড় থেকে যোগ দেন পদযাত্রায়। প্রায় দু’কিলোমিটার হেঁটে পৌঁছন সভাস্থলে।

Advertisement

শুভেন্দু বলেন, “গত বিধানসভা বা পঞ্চায়েত ভোটে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেননি, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বুথে ভোট লুট করেছিল। কিন্তু এ বার তা হবে না। প্রতি বুথে ছ’জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবেন।” ক্যানিং বাজার সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় বিধায়ক পরেশরাম দাসের কার্যালয়ের সামনে দিয়ে মিছিলে যেতে যেতে সে দিকে আঙুল দেখিয়ে শুভেন্দু বলেন, “সন্দেশখালির মতো সোজা করব।”

শুভেন্দুর দাবি, তিনি নির্বাচনী প্রচারে আসেননি। কয়েক দিন আগে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সুব্রত দাস সহ বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলার প্রতিবাদে সভা করতে এসেছেন। শুভেন্দুর সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন জয়নগর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী অশোক কান্ডারী। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকাত মোল্লা, ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস, কুলতলির বিধায়ক গণেশ মণ্ডল, বাসন্তীর তৃণমূল নেতা রাজা গাজিকে হুঁশিয়ার করে শুভেন্দু বলেন, “সন্দেশখালির ঘটনা থেকেও যদি তৃণমূলের এই নেতারা শিক্ষা না নেয়, তা হলে আমি মনে করি এরা মানুষ নয়।” তিনি আরও বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের পরে সন্ত্রাস কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ১৯ জনের নামে রিপোর্ট দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন। তাদের মধ্যে বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল, উত্তর ২৪ পরগনার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, শেখ শাহজাহান ধরা পড়েছেন। বাকি ১৬ জনকেও ধরা হবে। তার মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সওকাত মোল্লা, জাহাঙ্গির খানও আছেন। জাহাঙ্গিরের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তিনি ফোন ধরেননি। মেসেজের উত্তর আসেনি। সওকাত বলেন, “ভোট পরবর্তী হিংসায় আমার জড়িত থাকার এক চুল প্রমাণ শুভেন্দু দেখাতে পারবেন না। ওঁর যদি ক্ষমতা থাকে আমাকে জেলে ঢুকিয়ে দেখান।”

Advertisement

কয়েক মাস আগে ক্যানিং বাস স্ট্যান্ডে একটি জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে ক্যানিংয়ে এলে বেঁধে রাখার কথা বলেছিলেন পরেশ। সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু এ দিন বলেন, “আমি যাওয়ার সময়ে বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে চা খেয়ে যাব। ক্ষমতা থাকলে আমাকে বেঁধে রাখো।” সভা শেষে বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এসে চা খেয়েওছেন তিনি।

পরেশ পরে বলেন, “এক গাদা পুলিশ নিয়ে এখানে এসেছে। নির্বাচনের পরে ক্যানিংয়ে আসুন। দেখব, কত বড় বুকের পাটা। আমাদের কর্মীরা দড়ি দিয়ে ক্যানিং বাসস্ট্যান্ডে বেঁধে রাখবে। গত বিধানসভার থেকে একটা হলেও বেশি ভোটে জিতব। আর তারপর এখানে এলে শুভেন্দু অধিকারীকে উলঙ্গ করে পাঠাব।”

এ দিন বিজেপির সভা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানান পরেশ। তাঁর দাবি, বিজেপির সভার সময় ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত থাকলেও তা মানা হয়নি। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, প্রচুর মানুষের ভিড়ে সময় সামান্য উনিশ-বিশ হয়ে থাকতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন