Lok Sabha Election 2024

দক্ষিণে আসন ধরে ধরে রফায় এগোচ্ছে সিপিএম

বাম ও কংগ্রেসের রফার আলোচনা এখনও পর্যন্ত যে জায়গায় পৌঁছেছে, তাতে উত্তর ২৪ পরগনা ও হাওড়ার একটি করে আসন নিয়ে মীমাংসা-সূত্র বার করার চেষ্টা চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪ ০৯:৫৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

সমঝোতার ভিত্তিতে রাজ্যের ৮টি লোকসভা আসনে এখনও পর্যন্ত প্রার্থী ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। বামফ্রন্টের প্রার্থী ঘোষণা হয়েছে ২১ আসনে। প্রার্থী ঘোষণা না হলেও দার্জিলিং আসন কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে রেখেছে সিপিএম। সূত্রের খবর, দক্ষিণবঙ্গে আরও দু’টি আসন কংগ্রেসকে ছাড়তে চলেছে তারা। তবে কোন কোন আসন, তার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি এখনও হয়নি। কংগ্রেস অবশ্য রাজ্যে অন্তত ১২টি আসন দাবি করছে। আসন-রফার এই প্রক্রিয়ায় ধীরেই এগোচ্ছে দু’দল।

Advertisement

বাম ও কংগ্রেসের রফার আলোচনা এখনও পর্যন্ত যে জায়গায় পৌঁছেছে, তাতে উত্তর ২৪ পরগনা ও হাওড়ার একটি করে আসন নিয়ে মীমাংসা-সূত্র বার করার চেষ্টা চলছে। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর ও বনগাঁর মধ্যে একটি আসন কংগ্রেসকে দেওয়ার কথা সিপিএমের। তুলনামূলক ভাবে কংগ্রেসের আগ্রহ ব্যারাকপুর নিয়েই। আবার সিপিএম শেষ পর্যন্ত ব্যারাকপুরে লড়লে শিক্ষা বা সংস্কৃতি জগতের কোনও মুখকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে বাম সূত্রের ইঙ্গিত। প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি আজ়হার মল্লিকের জন্য একটি আসন বার করতে চাইছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তেমন হলে উলুবেড়িয়া আসন কংগ্রেসকে দিতে পারে সিপিএম। তবে আইএসএফের মনোভাব পরিষ্কার না হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না সিপিএম। মালদহ উত্তর, মুর্শিদাবাদ, শ্রীরামপুরের মতো কেন্দ্র থেকে আইএসএফ-কে প্রার্থী তোলার বার্তা সিপিএমের তরফে দেওয়া হলেও নওসাদ সিদ্দিকীর দল এখনও অবস্থান স্পষ্ট করেনি। অন্য দিকে, বিধানসভা উপনির্বাচনে বরাহনগর কেন্দ্র কংগ্রেসকে দেওয়া নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হলেও এখন আবার ভাবনা-চিন্তায় বদল হয়েছে! মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলায় লড়তে চাইছে কংগ্রেস, সিপিএমও সেখানে আগ্রহী!

আসন-রফার এই প্রক্রিয়া নিয়ে দলের মধ্যে কোনও আলোচনা না হওয়ায় অস্পষ্টতা ও ক্ষোভ বেড়ে চলেছে কংগ্রেসের অন্দরেও। দক্ষিণ কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ির পরে এ বার আসন-ভাগ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার দুই সাংগঠনিক জেলার দলীয় সভাপতিও এআইসিসি-কে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে একটি সূত্রের দাবি। যদিও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একটি আসন কংগ্রেসের জন্য ছাড়ার রাস্তা এখনও বন্ধ করে দেওয়া হয়নি সিপিএমের তরফে। কংগ্রেসের একাংশ অবশ্য প্রশ্ন তুলছে, ক্ষুব্ধ জেলা সভাপতিরা জোট-প্রার্থীদের হয়ে কাজ করবেন না, বোঝাই যাচ্ছে। তা হলে তাঁরা কি দলের কর্মী-সমর্থকদের বিজেপি বা তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করতে বলবেন? আবার কিছুই না করে বসে থাকলেও প্রকারান্তরে বিজেপি ও তৃণমূলকে সাহায্য করা হবে! আর সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের বক্তব্য, ‘‘বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তোলার জন্য ধৈর্য ধরে সব রকম ভাবে চেষ্টা করছি আমরা। দু-এক দিনের মধ্যে বামফ্রন্টের বৈঠক ডেকেও ফের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন