শুভেন্দু আধিকারী। —ফাইল চিত্র।
নিজের খাস এলাকা নন্দীগ্রামে শনিবার রাতে ‘চোর, চোর’ স্লোগান শুনতে হল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে। বিজেপির অভিযোগ, প্রশাসনের সাহায্যে তৃণমূল এই কাজ করেছে। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল একে ‘মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ’ বলে দাবি করেছে।
কয়েক দিন আগেই ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের গাড়ি ঘিরে ‘চোর’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। তার পরেই শুভেন্দুর গাড়ি ঘিরে একই ঘটনাকে অনেকেই তৃণমূলের পাল্টা কর্মসূচি বলে মনে করছেন। তাঁদের এই ধারণা আরও পোক্ত হয়েছে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের মন্তব্যে। এ দিন কুণাল বলেন, “দেখ কেমন লাগে! নন্দীগ্রামে আমাদের দলের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে এ ভাবেই বলেছিল। নিজে ধোয়া তুলসীপাতা নাকি, যে সবাইকে চোর বলার জন্য উনি উস্কানি দেবেন! তা হতে পারে না।”
শনিবার রাতে কেন্দামারির এক মনসা পুজোয় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তখন তাঁর কনভয় ঘিরে ‘চোর, চোর-চোরটা শিশির বাবুর ছেলেটা’ স্লোগান ওঠে। শুভেন্দু এই স্লোগান প্রসঙ্গে কেন্দামারিতে পুলিশ-প্রশাসনকেও দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশকে সামনে রেখে পিছনে পাঁচটা লোক হুঁ-হাঁ করবে আর শুভেন্দু অধিকারী ভয় পেয়ে চলে যাবে, ও সব কারবার হবে না। ওদের পুলিশ ডেকে নিয়ে এসেছে। হাতি চলে বাজার, কুত্তা ভোঁকে হাজ়ার।’’ ২০২১ সালেও বিধানসভা ভোটের আগে শুভেন্দুকে কেন্দামারিতে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। যদিও শনিবারের স্লোগানকে ‘মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ’ বলে দাবি করেছেন নন্দীগ্রামে তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য শামসুল ইসলাম।
কয়েক দিন আগে মহিষাদলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিশির ও শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে ‘বাপ-ছেলে’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। এ দিন পাল্টা নাম না করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মা-ছেলে’ বলে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে শুভেন্দু হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, "মাফলার (দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল) গিয়েছে, এ বার হাওয়াই চটির পালা।’’ নিয়োগ দুর্নীতির পরে এ বার আরও বিভিন্ন দফতরের দুর্নীতি সামনে আসার ইঙ্গিত দিয়ে শুভেন্দু বলেছেন,"এসএসসি তো পহেলা ঝাঁকি হ্যায়। পিএসসি, মিউনিসিপ্যালিটি, ফায়ার ব্রিগেড অভি বাকি হ্যায়।’’