Lok Sabha Election 2024

ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত আরামবাগে 

পাতুল দাসপাড়ার স্থানীয় বিজেপি নেতা মিলন সিংহ এবং তাঁর দাদা বিদ্যুৎ জানান, গোয়ালঘরে আগুন লাগানোর জেরে দগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছে একটি গবাদি পশু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খানাকুল শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৪ ০৯:২৯
Share:

খানাকুলের পাতুল দাসপাড়ায় বিজেপি কর্মীর পোড়া গোয়ালঘর। নিজস্ব চিত্র।

ভোট মিটলেও বিক্ষিপ্ত রাজনৈতিক হিংসায় দাঁড়ি পড়ছে না আরামবাগ মহকুমায়। কোথাও উঠছে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ও গোয়ালঘর পোড়ানোর অভিযোগ। কোথাও আবার হাতাহাতিতে জড়ালেন বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীরা। প্রতিটি ঘটনাই পুলিশে জানানো হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে খানাকুলের পোল ২ অঞ্চলের পাতুল দাসপাড়া এবং সংলগ্ন গণেশ বাজারে বিজেপি সমর্থকের খান পাঁচেক খড়ের গাদা এবং দু’টি গোয়াল ঘরে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাতুল দাসপাড়ার স্থানীয় বিজেপি নেতা মিলন সিংহ এবং তাঁর দাদা বিদ্যুৎ জানান, গোয়ালঘরে আগুন লাগানোর জেরে দগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছে একটি গবাদি পশু। গুরুতর জখম হয়েছে একটি গরু ও ছাগল। ওই গোয়াল সংলগ্ন একটি ঘরেও আগুন ধরে যায়। সেই বাড়িটি ইন্দ্রজিৎ দাস নামে আর এক বিজেপি কর্মীর। মিলনের অভিযোগ, “বিজেপির হয়ে ভোট প্রচার এবং বুথে সংগঠন গড়া নিয়ে তৃণমূলের ছেলেরা হুমকি দিচ্ছিল। রাত ১২টা নাগাদ ওরাই আগুন ধরিয়েছে।’’

খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের অভিযোগ, “তৃণমূল এলাকায় হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। দুষ্কতীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে থানায়।” অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের খানাকুল ১-এর ব্লক সভাপতি দীপেন মাইতি বলেন, “এই জঘন্য কাজের সঙ্গে আমাদের দলের কেউ যুক্ত নন।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

বুধবার বিকেলে আরামবাগের আরান্ডি ২ অঞ্চলের সিয়ারা গ্রামে তৃণমূল ও বিজেপির হাতাহাতিতে দু’পক্ষের ২ জন আহত হয়েছেন। তৃণমূল কর্মী অষ্ট সাঁতরার মাথা ফেটেছে। আর বিজেপি কর্মী চিত্ত সাঁতরার হাতে কোপ পড়েছে। অষ্টকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। চিত্তর স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ‘‘বিনা প্ররোচনায় বিজেপি হামলা করে। দলের ছেলেরা প্রতিরোধের চেষ্টা করে।” আর আরামবাগের বিজেপি বিধায়ক মধুসূদন বাগের দাবি, ‘‘পারিবারিক বিবাদের ঘটনাটিতে তৃণমূল রাজনীতির রং লাগাতে চাইছে।” পুলিশ জানায়, বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অন্যদিকে, বুধবার সকালে গোঘাটের হাটে বিজেপির এক মহিলা পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ ওঠে এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। মহিলার অভিযোগ, “অনুমতি ছাড়াই ওই ছেলেটা আমার ভিডিয়ো তুলছিল। আমি বারণ করলে অসভ্যতা করে।” তৃণমূলের নকুন্ডা অঞ্চল সভাপতি শশাঙ্ক ধকের দাবি, ‘‘অভিযুক্তের সঙ্গে আমাদের দলের যোগ নেই।” পুলিশ জানায়, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন