Model Code of Conduct

ঢাকুরিয়ায় সরকারি বিজ্ঞাপন সরাতে গিয়ে বাধা পেল পুলিশ, ধৃত পাঁচ, বিজেপির দাবি, নিগৃহীত কর্মীরা

পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কর্মীরাই নিগ্রহের শিকার। এই ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪ ২১:৪১
Share:

ঢাকুরিয়ায় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির অভিযোগ। ছবি: এক্স।

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ঢাকুরিয়ার মহারাজা টেগোর রোডে সরকারি বিজ্ঞাপনের ব্যানার, ফেস্টুন সরাতে গিয়েছিল পুলিশ-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকদের একটি দল। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তৈরি হল উত্তেজনা। বিজেপির দাবি, তাদের স্থানীয় দফতরে ঢুকে কর্মীদের নিগ্রহ করেছে পুলিশ। সঙ্গে ছিল ‘তৃণমূলের দুষ্কৃতী’। সমাজমাধ্যমে সেই দাবি করে একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আনন্দবাজার অনলাইন তার সত্যতা যাচাই করেনি। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কর্মীরাই নিগ্রহের শিকার। এই ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

লোকসভা ভোটের কারণে গোটা দেশে নির্বাচনী আচরণ বিধি জারি হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সরানো হচ্ছে সরকারি বিজ্ঞাপনের ব্যানার, ফেস্টুন। শুক্রবার দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ার মহারাজা টেগোর রোডে সেই কাজ করতে গিয়েছিলেন আধিকারিক এবং পুলিশ কর্মীরা। ওই এলাকা কসবা বিধানসভার অন্তর্গত। কাছেই ছিল বিজেপির দলীয় দফতর। অভিযোগ, ওই ব্যানার, ফেস্টুন সরানোকে কেন্দ্র করে পুলিশ এবং আধিকারিকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে বিজেপি কর্মীদের। লেক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ১৪৭, ১৪৯, ৩৫৩, ৩৩২, ৪২৭, ৫০৭ ধারায়। পাঁচ জন গ্রেফতার। বিজেপি যদিও পাল্টা আঙুল তুলেছে পুলিশের দিকে। দাবি করেছে, বিজেপির দফতরে ঢুকে কর্মীদের নিগ্রহ করা হয়েছে।

শুভেন্দু এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘মমতার পুলিশের ঘৃণ্য তাঁবেদারি আবারও জনসমক্ষে প্রকাশ পেয়েছে শুক্রবার ঢাকুরিয়ায়। ঢাকুরিয়ায় দক্ষিণ কলকাতা বিজেপি সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়ে অনধিকার প্রবেশ করে পুলিশ কর্মীরা বিজেপির কার্যকর্তা স্নেহাশিস দত্ত, জগবীর সিংহ এবং সমীর নাথ-সহ অন্যান্যদের নিগ্রহ করেছে। ভোটের প্রচারের সময় পুলিশের এমন ঘৃণ্য আচরণের তীব্র নিন্দা করি।’’ তিনি পুলিশকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে অভিযোগ করেছেন। তাঁর আরও বক্তব্য, ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ পুলিশও তৃণমূলকে জেতাতে পারবে না। কারণ জনগণ বিজেপির পাশে রয়েছে। পুলিশমন্ত্রী মমতাকেও বিঁধেছেন তিনি। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে লিখেছেন, ‘‘এ ভাবে বিজেপিকে আটকাতে পারবেন না, তা সে তৃণমূলআশ্রিত গুন্ডা বাহিনীই হোক অথবা মমতার পুলিশ।’’

Advertisement

কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ-পূর্ব) পরে এক্সে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে নির্বাচনী আচরণ বিধি (এমসিসি) রক্ষাকারী দল ব্যানার, পোস্টার সরাতে গিয়ে নিগ্রহ, হেনস্থার শিকার। লেক থানায় অভিযোগ দায়েরের পর পাঁচ জন গ্রেফতারও হয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন